পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ আর পহেলগাম হামলার কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে বিদেশে গিয়েও বাংলার মনীষীদের কথা ভোলেননি তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জাপানের টোকিওয় (Tokyo) স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসুর সমাধিস্থল ও প্রাক্তন বিচারপতি রাধাবিনোদ পালের স্মারকস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো পরে সিঙ্গাপুরে (Singapore) ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যেও আইএনএ-র স্মৃতিস্তম্ভে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও রামকৃষ্ণ মিশন গিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকান্দের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান জানান অভিষেক। লেখেন, “তাঁদের শিক্ষা এবং প্রজ্ঞা সর্বদা আমার জীবনে একটি পথপ্রদর্শক আলো।“

বিদেশের মাটিতে অপারেশন সিন্দুরের কথা জানাতে এবং সন্ত্রাসবাদে মদতকারী পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এবার সিঙ্গাপুরে পৌঁছে সেখানকার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেকরা (Abhishek Banerjee)। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রথমেই সেখানকার ভারতের হাইকমিশনার রাষ্ট্রদূত শিল্পক আম্বুলের (Shilpak Ambule) দেখা করেন। এরপর সিঙ্গাপুরের বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সিম আনের সঙ্গেও বৈঠক হয়। এর আগেই সিঙ্গাপুরের এসপ্ল্যানেড পার্কে অবস্থিত আইএনএ মেমোরিয়ালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান অভিষেক। সেই খবর জানিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, “সিঙ্গাপুরে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আগে আইএনএ মেমোরিয়ালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আইএনএ-র প্রতি স্মৃতিস্তম্ভটি বর্তমানে সংস্কারাধীন। সেই কারণে আমি বাইরে থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছি। এই মুহূর্তটি আমার মধ্যে গভীর আবেগ জাগিয়ে তুলেছিল। নেতাজির মতো বিপ্লবীদের নেতৃত্বে পরিচালিত সংগ্রাম একটি মর্মস্পর্শী স্মৃতি।“

সিঙ্গাপুরে রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন করেন অভিষেক। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন ঘুরে দেখে তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংস, সারদাদেবী ও স্বামীজির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে স্যোশান মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করে লেখেন, “সিঙ্গাপুরের রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন করার সৌভাগ্য আমার হল। এটি একটি আধ্যাত্মিক ও মানবিক প্রতিষ্ঠান যা শ্রী রামকৃষ্ণ, মা সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।“

এর পরে অভিষেক লেখেন, “তাঁদের শিক্ষা এবং প্রজ্ঞা সর্বদা আমার জীবনে একটি পথপ্রদর্শক আলো। এই সফরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক হিসেবে কাজ করেছে যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই একটি গভীর নৈতিক উদ্দেশ্যের মধ্যে নিহিত। আমরা যেন শান্তির প্রতি আমাদের অঙ্গীকারে অটল থাকি এবং আমাদের সভ্যতাকে দীর্ঘকাল ধরে সংজ্ঞায়িত করে আসা মূল্যবোধগুলিকে সংহত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকি।“

আরও খবর: কোন পথে সন্ত্রাসবাদ দমন: প্রশ্ন তুলে সংসদে বিশেষ অধিবেশন দাবি তৃণমূলের

–

–

–

–

–

–
–
–
–