দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) উদ্বোধনের পর থেকেই সেখানে উপচে পড়ে ভিড়। সেই কারণেই হয়ত কিছুটা চিন্তায় পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। ‘জগন্নাথধাম’ নাম ব্যবহারের উপর একচ্ছত্র অধিকার দাবি করতে এবার পেটেন্ট চেয়ে আবেদন করবে পুরী (Puri) জগন্নাথধাম কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ‘মহাপ্রসাদ’, ‘নীলাচল ধাম’, ‘শ্রীক্ষেত্র’, ‘পুরুষোত্তমধাম’-সহ একাধিক শব্দ এবং মন্দিরের লোগো নিয়েও পেটেন্টের আবেদন করবে কর্তৃপক্ষ।

মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি জানিয়েছেন, “জগন্নাথ মন্দিরের পবিত্রতা, ঐতিহ্য এবং অনন্য পরিচয় সংরক্ষণের লক্ষ্যে এই মন্দির-সম্পর্কিত শব্দগুলির পেটেন্ট করা অত্যন্ত জরুরি। এই কারণে একটি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ভগবান জগন্নাথের সঙ্গে সম্পর্কিত পবিত্র শব্দগুলির নির্বিচারে ব্যবহার বন্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

দিঘায় গত মাসেই জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মন্দিরটির স্থাপত্য পুরীর শ্রীমন্দিরের আদলে নির্মিত এবং তাতে ‘জগন্নাথধাম’ শব্দ ব্যবহারের পর থেকেই বিভিন্ন বিতর্ক দানা বাঁধে। এই নিয়ে আপত্তি জানান পুরীর শংকরাচার্য-সহ অনেকেই। এই বিতর্ক নিয়ে আগেই তোপ দাগেন মমতা। ওড়িশা সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “ওড়িশায় আলুর টান পড়লে কিন্তু বাংলা তার জোগান দেয়। আপনাদের যখন সাইক্লোনে সব উড়ে যায়, রাস্তার পাইপ নষ্ট হয়ে যায়, আমরা এখান থেকে ইঞ্জিনিয়ার পাঠাই। বাংলা থেকেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক পুরীতে যান। দিঘায় আমরা একটা জগন্নাথধাম করলে আপনাদের অসুবিধা কী?“ এর পরেই তীব্র কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী, “আমরা তো সকলে পুরীতে যাই। আমরা তো এত প্রশ্ন করি না। এত গায়ে লাগছে কেন? এত হিংসে কেন? হিংসের কোনও ওষুধ হয় না।“

ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানিয়েছেন, “ধর্মীয় আস্থার বিষয়গুলি অত্যন্ত সংবেদনশীল। চারটি প্রধান ‘ধাম’-এর মধ্যে পুরী অন্যতম। আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করব, দিঘার মন্দির থেকে ‘জগন্নাথধাম’ শব্দটি সরানো হোক।”

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–
