কার্তুজ পাচার করতে গিয়ে ধৃত ধর্মতলায় ধৃত রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রামকৃষ্ণ মাজিকে জেরা করে আরও ৩ জনের সন্ধান মিলেছে। কলকাতা পুলিশের (Police) STF সূত্রে খবর, এই তিনজনের সন্ধানে খোঁজ চালানো হচ্ছে। রামকৃষ্ণের স্ত্রীর দাবি, বিজেপি করত, টাকার লোভেই কার্তুজ সরবরাহ।
রবিবার রাতে ১২০ রাউন্ড কার্তুজ-সহ গ্রেফতার করা হয় বিজেপির পূর্ব বর্ধমানের যুবনেতা রামকৃষ্ণকে। ২০২১ থেকে ২৩ পর্যন্ত বিজেপির (BJP) বোলপুর সাংগঠনিক জেলার জেডপি ৪৬ নম্বর মণ্ডলের (কেতুগ্রাম-১) এসসি মোর্চার সভাপতির পদে ছিলেন রামকৃষ্ণ মাজি। সামাজ মাধ্যমে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছবি-সহ নিজের পদ উল্লেখ করে ছবি পোস্ট করেছিলেন রামকৃষ্ণ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির ঘনিষ্ঠ সেই রামকৃষ্ণকেই কার্তুজ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের STF। তাঁকে জেরা করে ৩ জনের সন্ধান মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বিহারে বানানো হয়েছিল কার্তুজগুলি।
এদিকে রামকৃষ্ণের স্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী বিজেপি করতেন। তিনি বলেন, “বিজেপি করত। মিটিংয়ে, মিছিলে যেত। টাকার লোভে করেছে। ম্যাটাডোর কেনার কিস্তির টাকা শোধ করতে পারছিল না। ৫ হাজার টাকা দরকার ছিল।” কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়কের দাবি, কেতুগ্রামে বিজেপির ৪৬ নম্বর এসসি মোর্চার সভাপতি রামকৃষ্ণ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ধর্মতলার 12B বাস স্ট্যান্ডে রবিবার ব্যাগ নিয়ে রামকৃষ্ণ বাস থেকে নামতেই তাকে পাকড়াও করে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ। ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়, ১২০টি কার্তুজ। তার মধ্যে ১০০টি 8 MM পিস্তলের, বাকি ২০টি কার্তুজ 7.65 MM পিস্তলের। এবার এই কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনাতেই সামনে এল বিহার যোগ।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–