দেশ জুড়ে চিন্তার নতুন নাম এনবি.ওয়ান.এইট.ওয়ান (NB.1.8.1) – এটি কোভিড ১৯ ভাইরাসের নয়া রূপ।এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের আইসিইউ নির্ভরতার প্রয়োজন না হলেও সতর্ক থাকতে হবে, পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। WHO বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোভিড (Covid 19) ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত ছোঁয়াচে। হাঁচি কাশির মাধ্যমে এক দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। যদিও গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। তবে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।

গত কয়েক মাসে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং-এর মতো একাধিক জায়গায় Covid আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পর এবার ভারতে মারণ রোগের থাবা চওড়া হচ্ছে। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। এখনই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা দরকার, মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের পরামর্শ, যাঁরা জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন অবশ্যই মাস্ক পরুন। বাইরে থেকে ঘরে এসে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে শুরু করুন। কোমর্বিডিটি থাকলে এড়িয়ে চলুন ভিড়।বঙ্গে নিযুক্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) কোঅর্ডিনেটর তথা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. প্রীতম রায় (Dr Pritam Roy) জানিয়েছেন, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। নয়া ভ্যারিয়েন্ট দুর্বল।বাজারে অনুমোদিত যে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন রয়েছে তা নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে একইরকম কার্যকর বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট যেমন বাড়ছে তেমন ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে পুরনো এলপি.এইট.ওয়ান (LP.8.1) ভ্যারিয়েন্ট। এদিকে কলকাতায় আরও তিন কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

–

–


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–