অভয়ার নির্মম হত্যাকে ঢাল করে আর কত নিজেদের আখের গোছাবেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা? এই মৃত্যুকে হাতিয়ার করে তারা যেমন নিজেদের আখের গুছিয়েছে ঠিক তেমনি নিজেদের পকেটও ভারী করেছে। এরপর এখন নিয়মমাফিক যখন প্রশাসনিক বদলি হচ্ছে ঠিক তখনই তারা বেঁকে বসেছেন। রুটিন পোস্টিংয়ের তালিকা বেরতেইয় সুবিধাবাদী চিকিৎসকদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়েছে।

মানব সেবায় ব্রতী হয়ে তারা যখন শপথ গ্রহণ করেছিলেন সে সময় কি তারা বলেছিলেন যে গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা দেবেন না? তাহলে এখন বদলি করলে তাদের আপত্তি কোথায়? স্বাভাবিকভাবে এই প্রশ্নই উঠছে বিভিন্ন মহলে। গ্রামে বদলি কেন? বালখিল্য আবদারে স্বাস্থ্যভবনে প্রতিলিপি জমা দিয়েছেন জুনিয়র ডক্টর্স ফোরামের অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার ও আসফাকুল্লা নাইয়া। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সাফ প্রশ্ন, পুলিশ কিংবা ডাক্তারদের তো বদলির চাকরি। তাঁরা যদি এতই মানুষের সেবক হন, তাহলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়ার মানুষের সেবা করতে আপত্তি কেন? ডাক্তারদের বদলি হয় না? দূরের জেলায় যাব না? যাঁরা ঘোষিত সরকারপন্থী চিকিৎসক তাঁদেরও দূরে পোস্টিং হয়। কলকাতার চারপাশে ঘুরঘুর করতে দিতে হবে, এটাই কি আন্দোলনের উদ্দেশ্য? ‘আন্দোলন করেছি বলে বদলি’ এই ভিক্টিম কার্ডটা কতবার খাটানো হবে? অভয়াকে ভাঙিয়ে আর কত সুবিধা নেবে? আর কতরকমভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হবে?

আরও পড়ুন – আরাকু-কোট্টাভালাসায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা! লাইনচ্যুত মালবাহী ট্রেনের ২৫টি কামরা

_

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_
_