পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার অথচ এত নৃশংসতা! মেমারিতে বৃদ্ধ মা -বাবার গলার নলি কেটে খুন (Memary Murder Case)করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ হুমায়ুন কবীর সিদ্দিকির (Humayun Kabir Siddiqui)বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, এরপর অভিযুক্ত সোজা চলে যান উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁতে। সেখানে মাদ্রাসায় ঢুকে হামলা চালান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আজান শেষে সেইসময় মাদ্রাসায় শিক্ষাদান চলছিল। সেই সময় হুমায়ুন মাদ্রাসায় ঢুকে শিক্ষক ও পরিচালকদের ধারাল দা,কুড়ুল দিয়ে কোপাতে শুরু করেন (attack in madrasa)। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে (Bangaon Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ (Bangaon Police)। কেন অভিযুক্ত মেমারি থেকে সোজা বনগাঁ গেলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তের মানসিক অবস্থা নিয়েও সন্দিহান মনোবিদরা।

অভিযুক্ত হুমায়ুনের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানলে চমকে যেতে হয়। বর্ধমানের নামি স্কুল সিএমএস হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর মেধাবী হুমায়ুন যাদবপুর থেকে বি টেক করেন। এরপর ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে বেসরকারি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিতে চাকরি পান। সেই চাকরি ছেড়ে দিল্লিতে চাকরি করতে যান। বছর ছয়েক আগে বিয়ে, তারপর বিবাহবিচ্ছেদ।এরপর কয়েকমাস আগে নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর বাবা মুস্তাফিজুর রহমান ও মা মমতাজ পারভিন ছেলেকে হিমাচল থেকে খুঁজে বাড়িতে আনেন। বুধবার বৃদ্ধদম্পতির নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান হুমায়ুন মানসিকভাবে সুস্থ নন। তদন্ত চলছে।

–

–


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–
–