ট্যাংরায় (Tangra Murder Case)একই পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের ঘটনায় এবার চার্জশিট দিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ঘটনার ৯৯ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে পরিবারের দুই ভাই প্রণয় দে এবং প্রসূণ দে-র (Pranay Dey & Prasun Dey)বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী খুন ও খুনের চেষ্টা ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় সাক্ষী রয়েছেন ৫১ জন। অভিযুক্ত দুজনেই আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন।
দেনার দায়ে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের হাতে বাড়ির মহিলাদের খুনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। জানা যায় বিদেশে চামড়ার শিল্প-গ্লাভস রফতানির ব্যবসায় চূড়ান্ত মন্দা ও ক্ষতির মুখে পড়ে হাল ছেড়ে দেন প্রণয় ও প্রসূন। এর পরই গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে বাইপাসের উপর মেট্রোরেলের একটি পিলারে গাড়ির ধাক্কা দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রণয় ও প্রসূন। সেই সময় ওই গাড়িতে ছিলেন দে পরিবারের নাবালক ছেলে প্রতীপ। কিন্তু এই ঘটনার পর ট্যাংরায় তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বড় ছেলের স্ত্রী সুদেষ্ণা দে, ছোট ছেলের স্ত্রী রোমি ও প্রসূন-রোমির মেয়ে প্রিয়ংবদার দেহ। নাবালক পুলিশকে জানায় তাঁর কাকা দিদি প্রিয়ংবদার মতো তাঁকেও শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে। এরপরই খুনের ক্ষেত্রে প্রতীপের বাবা ও কাকার ষড়যন্ত্রের তথ্য সামনে এসেছে। চার্জশিটে এই বিষয়গুলি উল্লেখ করার পাশাপাশি সাক্ষীদের জবানবন্দিও রয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (১) ধারা, ১০৯ (১) ধারা চার্জশিটে উল্লেখ করেছে পুলিশ। সেই অনুযায়ী, কাউকে খুনের চেষ্টা করলে এবং সেই চেষ্টায় কারও মৃত্যু ঘটলে অপরাধীর ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–