“কে কী বলছে, তাতে কিছু হয় না। কেউ কিছু বলতেই পারে, রাজনীতি তো কারও বাপের নয়। এটা সকলের।“ নিজের এলাকাতে স্বমেজাজে মন্তব্য বীরভূমের তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। এই মন্তব্য করে তিনি কাকে নিশানা করলেন তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে। বুধবার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল বীরভূমের (Birbhum) শিক্ষাসেল। সেখানে অনুব্রত ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কৃষি-বিপণনমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। সেখানেই সুর চড়ান অনুব্রত। তাঁর কথায়, “বীরভূমের মানুষ জানে, আমি কী করেছি। অনেক রাখাল-বাগাল আছে। কে কী বলছে, তাতে কিছু হয় না। কেউ কিছু বলতেই পারে, রাজনীতি তো কারও বাপের নয়। এটা সকলের।“
অনুব্রত মণ্ডল ২০২২ সালে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরে বীরভূমে কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বীরভূমে এই কোর কমিটির (Core Committee) তদারকিতেই লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করে তৃণমূল। এর মধ্যেই বীরভূমে জেলা সভাপতির পদ তুলে দেয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রয়েছে শুধু কোর কমিটি, যেখানে কাজল শেখের মতোই অনুব্রত একজন সদস্য। বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ থেকে অনুব্রত বলেন, “আমার তো বলার কিছু নেই। দলের কর্মীরা চাঙ্গা হয়েছে। বাসি হয়ে গিয়েছিল। আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে।“
সেখানেই নিজের রাজনৈতির জীবন সম্পর্কে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) বলেন, “আমি ’৭৭ সাল থেকে দল করছি। গাইবাছুরে অনেক ভোট করিয়েছি। ’৭৭ সাল থেকে গাইবাছুরে ভোট মানে বুঝে নিন। আমার প্রতিজ্ঞা ছিল সিপিএমকে তাড়াব। তাড়িয়েছি। তখন আমার সঙ্গে কেউ ছিল না।“ এর পরেই নাম না করে সুর চড়ান বীরভূমের কেষ্টদা। বলেন, “বীরভূমের মানুষ জানে, আমি কী করেছি। অনেক রাখাল-বাগাল আছে। কে কী বলছে, তাতে কিছু হয় না। কেউ কিছু বলতেই পারে, রাজনীতি তো কারও বাপের নয়। এটা সকলের।“
আরও খবর: খালি হাতে আসছেন কেন? প্রধানমন্ত্রীর সফরের টাইমিং নিয়ে জোড়া প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করল তৃণমূল
এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, কাকে নিশানা করেছেন কেষ্ট মণ্ডল? বীরভূম তৃণমূলের পক্ষ থেকে বার বার দাবি হয়, দলের অন্দরে কোনও বিভাজন নেই। কোর কমিটির নেতৃত্বে কাজ এগোচ্ছে সুষ্ঠু ভাবে। কিন্তু অনুব্রতের বুধবারের মন্তব্য আবার বিতর্ক উস্কে দিল।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–