ক্রমাগত পাক হামলায় বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী পুঞ্চ থেকে শ্রীনগর। এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিঃসঙ্গ বোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) যাওয়ার তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ে, স্বীকার করেছিলেন ওমর আব্দুল্লাহ। অথচ পাক সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে ভোটব্যাঙ্ক ভরতে ব্যস্ত মোদী মন্ত্রিসভার কাউকে কাশ্মীরে পাঠানোর কথা ভাবতেও পারেননি, পহেলগাম হামলার (Pahalgam attack) এক মাস সাত দিন পরে অবশেষে কাশ্মীরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। যদিও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করলেও প্রশাসনিক বৈঠক করলেন কাশ্মীর মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে (Omar Abdullah) ছাড়াই।

শুক্রবার পুঞ্চে যান অমিত শাহ। বেশ কিছুদিন আগেই পুঞ্চ, রাজৌরি এবং জম্মুর সীমান্তবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পাক গোলায় বিধ্বস্ত এলাকাগুলির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিহত এবং আহতদের পরিজনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন জখমদের চিকিৎসার। আশ্বস্ত করেছেন তাঁদের। বৈঠক করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে। কিন্তু এতদিন পরে হঠাৎই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর কোন উদ্দেশ্যে, সমালোচনায় সরব তৃণমূল। ডেরেক ও’ব্রায়েনের প্রশ্ন, এতদিন তাহলে কী করছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Minister of Home Affairs)? পাক গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে কেন এসে দাঁড়াননি তিনি?

জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে আদতে যে কাশ্মীরের মানুষের থেকে বেশি অমরনাথ যাত্রাতেই (Amarnath Yatra) বেশি আগ্রহী, তা প্রমাণিত হয় যাত্রা নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত শাহর (Amit Shah) বৈঠকে। বৃহস্পতিবারই নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক সারেন তিনি কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব গোবিন্দ মোহনের সঙ্গে। আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে ডাকা হয়নি জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে।

–

–

–

–

–
–

–

–
–
–
–