পাশে নেই জনসমর্থন, উল্টে প্রশ্ন উঠছে গ্রামে যেতে জুনিয়র ডাক্তারদের সমস্যা কোথায়? অগত্যা দুদিন আগে হঠাৎ করে ‘প্রতিবাদী’ হয়ে ওঠা রেসিডেন্টরা কার্যত পিছু হটলেন, স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দুই হবু ডাক্তারবাবুর। নিয়ম মেনেই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের (Swasthya Bhawan) তরফে সিনিয়র রেসিডেন্টদের ‘নিয়মমাফিক’ বন্ড পোস্টিংয়ের ঘোষণা হয়। সেই ‘পোস্টিং’ আর সকলে কাজে যোগ দিলেও দেবাশিস হালদার (Debasish Haldar), আসফাকুল্লা নাইয়া, অনিকেত মাহাতো (Aniket Mahato) যাননি। এরপর শুরু হয় একের পর এক নাটক। কখনও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে পড়েন আবার কখনও ছোটেন আদালতে মামলা করতে। বলাই বাহুল্য এর কোনটাই লাইমলাইটে আসেনি। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ডাক্তারদের গ্রামে পোস্টিং নিতে এত অনীহা কেন। চাপের মুখে এবার পিছু হটতে বাধ্য হলেন দেবাশিস ও আসফাকুল্লা।

শহরের বুকে আন্দোলনের নামের সাধারণ মানুষের ইমোশন নিয়ে ছেলেখেলা করা থেকে শুরু করে মিডিয়ার সামনে বাইট দেওয়া তিন অতিবাম জুনিয়র ডাক্তারদের ‘নাটক’ এবারে আর ধোপে টিকলো না। সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসাবে জেলা হাসপাতালে পোস্টিংয়ের সিদ্ধান্তকে (Transfer Controversy) চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আসফাকুল্লা, দেবাশিস। মামলা দায়ের করার অনুমতি মিললেও জুনের প্রথম সপ্তাহেই যে শুনানি হবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আবার নির্দেশ না মানলে লক্ষাধিক টাকা জরিমানার আশঙ্কাও রয়েছে। অতএব ভোলবদল ‘বিপ্লবী’ হয়ে ওঠা দুই জুনিয়র চিকিৎসকের। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দেবাশিস বলেন, “আসফাকুল্লা আর আমি কাজে যোগ দেব। সেখানকার মানুষদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যই আমরা কাজে যোগ দেব।” পোস্টিং অনুযায়ী সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসাবে ডা. আসফাকুল্লা নাইয়া পুরুলিয়ার মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ এবং ডা. দেবাশিস হালদার মালদহের গাজোল মেডিক্যাল কলেজে যোগ দেওয়ার কথা। যদিও অনিকেত এখনই রায়গঞ্জে যাচ্ছেন না। দেবাশিসের বক্তব্য, “কাজে যোগ না দিয়ে আইনগতভাবে লড়াই চালাবেন অনিকেত।” সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, দেবাশিস-আসফাকুল্লারা বুঝতে পেরেছেন তাঁদের যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে না আমজনতা। তাই এবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন হবু চিকিৎসকবাবুরা।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–
–