ধর্মকে ভিত্তি করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, আর তাকে হাতিয়ার করে রীতিমত ফায়দা লুটের চেষ্টাকে কঠিন হাতে দমন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক পোস্ট করায় হরিয়ানা থেকে তরুণী ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারকে (influencer) গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। শনিবার ধৃতকে শহরে এনে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিচারক ওই তরুণীকে ১৩ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে (judicial custody) পাঠিয়েছেন। রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, ধর্মীয় প্ররোচনায় কোনও পদক্ষেপকেই বরদাস্ত করা হবে না বাংলায়। শাসকদল যে কোনও ভেদাভেদেই একইভাবে সরব, স্পষ্ট করে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শর্মিষ্ঠা পানোলি নামে এক ইনস্টাগ্রাম (Instagram) ইনফ্লুয়েন্সারের (influencer) বিরুদ্ধে। ভারতীয় সেনার অপারেশন সিন্দুর নিয়ে বলিউড অভিনেতাদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি ভিডিও বানান বছর বাইশের ওই তরুণী। সেই পোস্টে অনেকের বিরোধিতার পর ভিডিওটি ডিলিট করে ক্ষমা চেয়ে নেন আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা।
অবশ্য তার মধ্যেই ১৫ মে কলকাতার গার্ডেনরিচ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। কিন্তু তাঁকে নোটিশ পাঠাতে গিয়ে দেখা যায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে ফেরার তরুণী। শেষে আদালতের নির্দেশে ইনফ্লুয়েন্সারের (influencer) নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। শুক্রবার হরিয়ানার (Haryana) গুরুগ্রামে অভিযান চালিয়ে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। শনিবার তাঁকে কলকাতায় এনে আদালতে পেশ করলে সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল তাকে হেফাজতে চেয়ে জোরালো সওয়াল করেন। আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
এই ঘটনাতেও রাজনীতির রঙ লাগাতে চায় বিরোধীরা। পাল্টা তৃণমূল স্পষ্ট করে দেয় নিজেদের অবস্থান। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ধর্ম, সম্প্রদায়কে আঘাত দিয়ে কখনও কিছু করে না। এবং বরদাস্তও করে না। সেই সঙ্গে এই ধরনের ধর্মীয় ভেদাভেদমূলক কোনও কাজ সমর্থনও করে না। ধর্মের ভিত্তিতে পোস্ট হবে, ধর্মকে আঘাত হবে, প্ররোচনা হবে, সে যে ধর্মই হোক – তৃণমূল এই জিনিস করে না। সমর্থনও করে না।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–