প্রবল বর্ষণে ভয়াবহ অবস্থা সিকিমের। ভূমিধসে বিপর্যস্ত সেখানকার জনজীবন। উত্তর সিকিমের একাধিক জায়গাতে আটকে পড়েছিলেন বহু পর্যটক। সোমবার সকালে বৃষ্টি কমলে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, ২৮৪টি গাড়ি, ১৬টি বাইকে মোট ১৬৭৮ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে ৭৩৭ জন পুরুষ, ৫৬১ জন মহিলা ও ৩৮০ জন শিশু রয়েছে। তাদের ফিডাং সড়ক দিয়ে গ্যাংটকে ফেরানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে মঙ্গনের জেলাশাসক অনন্ত জৈন বলেন, “বৃষ্টি ও ভূমিধ্বসের কারনে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তিস্তা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে উদ্ধার অভিযান আরও ব্যাহত হয়েছিল। কিন্তু আজ অবস্থার উন্নতি হলেই, পর্যটকদের নিরাপদে গ্যাংটকে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন সিকিম পুলিশের ডিজিপি অক্ষয় সচদেবা, মঙ্গন জেলার জেলাশাসক অনন্ত জৈন, আইজি (আইনশৃঙ্খলা) তাশি ওয়াঙ্ঘ্যায়াল, ডিআইজি (গ্যাংটক) প্রতাপ প্রধান ও মঙ্গনের পুলিশ সুপার সোনম ডেটচু ভুটিয়া। প্রশাসনকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান পর্যটকরা।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে নতুন করে ত্রাস হয়ে উঠেছিল তিস্তা। সিংতাম তো বটেই, জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল সেবকেও। লাচুং থেকে পর্যটক উদ্ধার শুরু হলেও, লাচেন থেকে এই কাজ শুরু করা যায়নি একাধিক রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায়। টানা তিন-চার দিন ধরে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে সিকিম-সহ পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য এলাকায়। মেরামতির জন্য সোম এবং মঙ্গল দু-দিনই সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন – আত্মপ্রকাশ নতুন মহকুমা ফরাক্কার, তৈরি নয়া পদ! সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_