মেলেনি কেন্দ্রীয় অনুমতি। কেন্দ্রীয় সরকারের পরীক্ষায় ‘পাশ’ না করায় তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির চুক্তি আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বাতিল করল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে তাজপুর বন্দর তৈরির জন্য আদানি গোষ্ঠীকে ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ দিয়েছিল রাজ্য। এবার তা বাতিল করা হল। এবিষয়ে আবার বিজ্ঞপ্তি জারি করছে রাজ্য সরকার (State Government)।

প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে (Tajpur Port) গ্রিনফিল্ড প্রযুক্তিতে বন্দর তৈরির দায়িত্ব টেন্ডার ডেকে আদানি গোষ্ঠীকে দিয়েছিল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর সরকারি বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠানে আদানি গোষ্ঠীর অন্যতম কর্ণধার করণ আদানির হাতে তুলে লেটার অফ ইনটেন্ট দিয়েছিলেন।

নবান্ন সূত্রে খবর, তাজপুর বন্দর (Tajpur Port) নির্মাণের দরপত্রে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোন (APSEZ) সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র চাওয়া হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বিদেশ ও জাহাজ মন্ত্রকের কাছ থেকে। সূত্রের খবর, সামগ্রিকভাবে সমস্ত শর্ত পূরণ করতে পারেনি আদানি গোষ্ঠী। সেই কারণেই ছাড়পত্রও মেলেনি। যদিও ওড়িশার গোপালপুর বন্দরের ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে APSEZ। কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরে দুটি বার্থ, হলদিয়া বন্দরে একটি বার্থ এবং গুজরাটের কান্দলা বন্দরে একটি বার্থের জন্যও APSEZ পুরস্কার জিতেছে।

প্রথম টেন্ডার অনুযায়ী, ১২৫ একর সমুদ্রতীরবর্তী জমি এবং শিল্প প্রকল্পের জন্য আরও ১ হাজার একর জমি দেওয়ার কথা ছিল, যার জন্য কোনও অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণের দরকার পড়বে না বলেই জানানো হয়েছিল। নতুন টেন্ডারে এই জমির বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে কি না, সে বিষয়েও স্পষ্টতা আসা বাকি।

তাজপুর বন্দর নির্মিত হলে তা রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর হবে। ২৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের সরাসরি এবং বহু মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য প্রশাসন। কলকাতা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বন্দরটি ১২ মিটার ড্রাফট-সহ নির্মিত হবে এবং ডানকুনি ফ্রেইট করিডোর ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ গড়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র না মেলায় নতুন করে প্রকল্পের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে।

–

–

–

–

–

–
–
–
–