বধূ নির্যাতনে অভিযুক্ত প্রাক্তন বিধায়ক দীপক ঘোষ গ্রেফতারি এড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা ও মিথ্যাচার করেছেন। আর সিপিএমের শর্ত অনুযায়ী কুৎসা করেই পুলিশের হাত থেকে বেঁচেছিলেন এই কুচক্রী দীপক। নইলে বধূ নির্যাতনের কেসে জেলযাত্রা নিশ্চিত ছিল তাঁর। নিজের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষ, যিনি গৌতম ঘোষের ‘অন্তর্জলী যাত্রা’ ছবিতে শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, তিনিই বধূ নির্যাতনের অভিযোগ ও মামলা (আইপিসি সেকশন ৪৯৮এ, ৪০৬, ১২০বি) করেছিলেন। সেইসময় এই মামলায় দীপক ঘোষ গ্রেফতারি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। সব জানার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেইসময় দীপককে দল থেকে সরিয়ে দেয়। এরপরও সিপিএমের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেনি। কোনও এক রহস্যজনক রসায়নে গ্রেফতারি থেকে বেঁচে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের নামে কুৎসা করতে শুরু করে দীপক। এই কুচক্রীর কালো ইতিহাস ও ন্যক্কারজনক ঘটনা ফের একবার সর্বসমক্ষে এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটবেলার একটি ছবি নিয়ে একদল অতৃপ্ত আত্মা ও চতুষ্পদ বিকৃতরুচির প্রচার চালাচ্ছিল। তার পাল্টা জোরাল প্রতিবাদ করে ছবির সারমর্ম সম্পর্কে জানিয়েছিল দল। এবিষয়ে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, সেসময় আলিপুর কোর্টে দীপক ঘোষের যে মামলা উঠেছিল, সেটি হল সিজিআর ১৮৩৬/৯৮, কেস নং ১৪২, তারিখ ২০.০৬.১৯৯৮। শম্পা ঘোষ দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। দীপক ঘোষও রহস্যজনক কারণে আর গ্রেফতার হননি। একে গ্রেফতার না করে যে রগরগে মিথ্যাচারগুলো করানো হয়েছে, সেগুলো যদি আজকে বিরোধী রাজনীতির উপাদান হয়, তবে এই বিরোধীদের দেখে আমাদের করুণা হচ্ছে। কুণালের সংযোজন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটবেলার ছবি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেনে কুৎসা রটানো হচ্ছে, মিথ্যাচার চলছে। ছবিতে অভিষেকের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কিছু চতুষ্পদ প্রাণী বলছে উনি লতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সোশ্যাল মিডিয়াটা আজকাল দায়িত্বজ্ঞানহীন অপপ্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন – রাজ্য পুলিশে বড়সড় রদবদল, নতুন দায়িত্বে কারা?

_

_

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_