ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে লাগাতার অনুপ্রবেশ (illegal infiltration) থেকে ভারতীয় নাগরিকদের অপহরণ, বিএসএফ-কে (BSF) লক্ষ্য করে হাতিয়ার নিয়ে হামলা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) জমানায় নির্লজ্জতার কোনও উদাহরণ অবশিষ্ট রাখেনি বাংলাদেশ (Bangladesh)। এবার বিএসএফ জওয়ানকেই অপহরণের অভিযোগ বাংলাদেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে। যদিও ভারতের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে বিকালেই ফের মুক্ত করা হয় সীমান্তের ওপারে আটক জওয়ানকে।

সীমান্তে যাতে অবাধ দুষ্কৃতীমূলক কাজ চলতে থাকে তার জন্য বিজিবি গোটা সীমান্তেই যে কোনও নজরদারি চালায় না গত কয়েকমাস ধরে, তা বলাই বাহুল্য। আর বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের সেই অনুপ্রবেশ আটকাতে দিনরাত তৎপর বিএসএফ। সেই কর্তব্যে বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) সুতি থানার নুরপুর বিওপি এলাকায় টহলদারি ডিউটি করছিলেন বিএসএফের এক কনস্টেবল। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পাতলাটোলা সীমান্ত এলাকায় ৬ ও ৭ নম্বর গেটের মাঝে বেআইনি অনুপ্রবেশের (illegal infiltration) সময় আটকানোর চেষ্টা করে ওই কনস্টেবল। সেই সময়ই তাঁকে অপহরণ করে বাংলাদেশের নাগরিকরা এমনটাই অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের সময় ওই কনস্টেবলের সঙ্গে বচসা বাঁধে বাংলাদেশিদের। প্রায় ১০ – ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক জোর করে ভারতীয় সীমান্ত প্রবেশ করে। ওই বিএসএফ (BSF) জওয়ানের আগ্নেয়াস্ত্রটি ছিনতাই করে বাংলাদেশের দিকে দৌড়াতে থাকে। তখনই নিজের অস্ত্র ফেরাতে জওয়ানও তাদের পিছু ধাওয়া করে। তখনই জওয়ানকে ধরে ফেলে কলা বাগানে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন বলে অভিযোগ।

অপহরণের খবর পাওয়ামাত্র সজাগ হয় বিএসএফ আউটপোস্ট। যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশে বিজিবির সঙ্গে। বিকালেই দুপক্ষের ফ্ল্যাগ মিটিং (flag meeting) হয়। সেই বৈঠকের পরই ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। তবে বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রকাশ করা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) হয়। সেই ভিডিও-র সত্যতা নিয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলেনি বিএসএফ।


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
