মোবাইল চোর সন্দেহে নাবালককে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের নাবালক। ধৃতদের জেরা করে তার খোঁজ চালাচ্ছে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃতদের জেরায় অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে নাবালকের সন্ধানে ইসলামপুর রওনা দিয়েছে কলকাতা পুলিশের একটি দলও।

মাস দেড়েক আগে ইসলামপুর থেকে মহেশতলার জিন্স ওয়াস কারখানায় কাজ করতে কলকাতা আসে ওই ১৪ বছরের নাবালক। এরপরই মঙ্গলবার ওই নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধর করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (ভাইরাল ভিডিও সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি)। পরিবারের অভিযোগ নাবালককে বিদ্যুতের শকও দেয় কারখানার মালিক শাহেনশা খান। পুলিশের অভিযোগ জানানো হলে পুলিশ একদিকে নিখোঁজ নাবালকের খোঁজ শুরু করে। অন্যদিকে খোঁজ শুরু হয় অভিযুক্ত শাহেনশার।

এই ঘটনার তদন্তে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ মোস্তাফা কামাল ও তৌহিদ আলম নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন এই দুজনই উপস্থিত ছিল সেই কারখানায়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে বলে জানা গিয়েছে। তবে নিখোঁজ নাবালক কোথায়, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি পুলিশের কাছে। এই সম্পর্কে ধৃত দুজন দুরকম উত্তর দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ এলাকার সব সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে নাবালককে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

অন্যদিকে নাবালকের নিখোঁজ হওয়ার খবরে উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা ইসলামপুরের পরিবারে। বুধবার পরিবারের লোকেরা ইসলামপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। মূল অভিযুক্ত শাহেনশাকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাঁদের ঘরের ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন – গরুমারা-চাপরামারি ইকো সেনসিটিভ জোনে কড়া নজরদারি রাজ্যের, গঠিত হচ্ছে বিশেষ মনিটরিং সেল

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_