উত্তরবঙ্গের কংগ্রেসে (Congress) জোর ধাক্কা। হাত ছেড়ে জোড়াফুলে বর্ষীয়ান নেতা শঙ্কর মালাকার (Shankar Malakar)। বুধবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi) এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) হাত ধরে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নের মডেলের কারণেই তৃণমূলে যোগ- জানালেন শঙ্কর (Shankar Malakar)। একই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডও বাংলা নিয়ে উদাহীন বলে অভিযোগ প্রাক্তন কংগ্রেস নেতার।২০১১ থেকে ২০২১, টানা দশ বছর কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন শঙ্কর মালাকর। উত্তরবঙ্গের একটা অংশে সেই সময় প্রভাব ছিল তাঁর। তাও কেন দলবদল? প্রাক্তন নেতা শঙ্কর মালাকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন উন্মাদনায় আপ্লুত। বিরোধী দলের বিধায়ক থেকে উন্নয়ন করতে পারিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন করছেন, তাতে আমি মুগ্ধ। তাই এই তৃণমূলে যোগদান করছি।”

শঙ্কর যে দলে থাকছেন না, সেটা জানতে পেরে বুধবার দুপুরে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কংগ্রেস জানায়, শঙ্করকে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের সেই বিজ্ঞপ্তি সংবাদমাধ্যমের হাতে আসার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তৃণমূল ভবনে শঙ্করকেপাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুব্রত বক্সি এবং অরূপ অরূপ বিশ্বাস। শঙ্কর জানান, মঙ্গলবারই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েদিয়েছেন। সুতরাং তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শঙ্কর। ক্ষোভ উগরে বলেন, “একটা অযোগ্য প্রদেশ কংগ্রেস। এই প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থা যা তারা কারও সাথে লড়াই করতে পারবে না।” একই সঙ্গে তিনি জানান, “একা বা কয়েকজন মিলে কংগ্রেস শক্তিশালী হবে না। মাত্র ৩% ভোট দিয়ে হবে না কংগ্রেসের। দিল্লি বিজেপির বিরুদ্ধে কিছু বলে না।”

ছাব্বিশ ভোটের আগে শঙ্কর মালাকার শিবির বদলানো কংগ্রেসকে আরও খাদের কিনারায় নিয়ে গেল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।-


–

–
–

–
–

–

–

–
