কয়েকটি দেশ থেকে মানুষ এসে আমেরিকার ক্ষতি করতে চায়। দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নয়া নিয়ম লাগু করে একথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বিশ্বের ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা (travel ban) জারি করা হল। এর আগেও দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে একাধিক দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশে আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, সেই নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেকটাই দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

আগামী ৯ জুন থেকে আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন না (travel ban) আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো, গিনি, এরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকরা। এছাড়াও বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওনে, টোগো, তুর্কিমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশগুলির ক্ষেত্রে আংশিক বিধিনিষেধও চালু করা হয়েছে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন,”আমরা এমন কোনও দেশকে খোলা দরজা দেব না, যেখান থেকে আগতদের সঠিকভাবে যাচাই বা পর্যবেক্ষণ সম্ভবই নয়। সেই কারণে আমি নতুন প্রশাসনিক নির্দেশিকায় সই করতে চলেছি যাতে করে ইয়েমেন (Yemen), লিবিয়া (Libya), সোমালিয়ার (Somalia) মতো দেশ থেকে আসা নাগরিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা (travel ban) চাপানো হবে। ইউরোপে (Europe) যেটা ঘটেছে, আমরা তা আমেরিকায় হতে দেব না। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আমাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।”

ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাতের মাঝে দিন কয়েক আগে আমেরিকার কলোরাডোয় (Colorado) ইজরায়েলিদের একটি শান্তি মিছিলে হামলা হয়। প্যালেস্তাইনকে মুক্ত করার স্লোগান দিয়ে কলোরাডোর শপিং মলের বাইরে ‘ফায়ার বম্ব’ ছুড়েছিলেন মিশরের এক নাগরিক। খুব বড় ক্ষতি না হলেও এই ঘটনা মার্কিন প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়ে তোলে। এই ঘটনা মাথায় রেখেই এত বড় পদক্ষেপ নিলেন ট্রাম্প।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–