সরকারি জমিতে বেআইনি দখলদারি রুখে আবাসন প্রকল্পের জন্য ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। হাউসিং বোর্ড সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, জলপাইগুড়ি ও হুগলি—এই চার জেলায় মোট ৬১.০৮৭ একর জমির উপর সমীক্ষা চালানো হবে। ইতিমধ্যে ‘টপোগ্রাফিক’ ও ‘কনট্যুর’ সমীক্ষার জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে।

রাজ্য হাউসিং বোর্ডের এক আধিকারিক জানান, এই সমীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য জমির সঠিক ব্যবস্থাপনা, অবৈধ দখলদারি প্রতিহত করা এবং গৃহনির্মাণ প্রকল্পের রাস্তাকে মসৃণ করে তোলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুটি জমি (৩.৬৭৭ একর ও ২৩.০৩৯ একর), পশ্চিম বর্ধমানের ২১.৩৬১ একর, জলপাইগুড়ির ৮.২২ একর এবং হুগলির ৪.৭৯ একর জমিতে এই সমীক্ষা চালানো হবে।

উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘টোটাল স্টেশন’ এবং ‘ডিফারেনশিয়াল জিপিএস’-এর সাহায্যে জমির নির্ভুল ম্যাপিং ও কনট্যুর ম্যাপ তৈরি করা হবে। এছাড়াও ড্রেনেজ এবং পরিকাঠামো পরিকল্পনার জন্য আউটফল পয়েন্ট নির্ধারণের কাজও করা হবে।

এছাড়াও, জমির খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপের সঙ্গে মিলিয়ে নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সহযোগিতায় এই সমীক্ষা সম্পন্ন হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে জমি নিয়ে বিরোধ বা স্থানীয় বাধা এড়াতে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা থাকবে।

রাজ্য সরকার তিন মাসের মধ্যে এই সমীক্ষা শেষ করতে চায়। অন্যদিকে, নিউটাউন-রাজাহাট এলাকায় থাকা ৩৪টি ফাঁকা জমি কীভাবে গৃহনির্মাণে ব্যবহার করা যেতে পারে, তা জানতে বাজারের চাহিদা ও জমির মূল্য বিচার করে পৃথক সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাউসিং বোর্ড।

এই উদ্যোগের ফলে অব্যবহৃত জমিগুলি যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে নতুন আবাসন হাব তৈরির পথে অগ্রসর হওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন – প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ: বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বার্তা দিলেন মন্ত্রী

_

_

_

_
_
_
_
_