ভারতের উপর হামলা চালানোর সময় পাকিস্তানকে অতিরিক্ত অর্থ সাহায্য। এরপর বিশ্বের নিরাপত্তা কাউন্সিলে শাহবাজ শরিফের দেশকে নতুন করে স্বীকৃতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations)। যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের খরচের খতিয়ান তুলে ধরে খয়রাতি বন্ধ করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, এবার সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে পদক্ষেপে প্রশ্নের মুখে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ওসামা বিন লাদেনকে (Osama Bin Laden) লুকিয়ে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল যে পাকিস্তান (Pakistan), সেই আল-কায়েদার (Al-Qaeda) বিরুদ্ধে এবার তদন্ত করবে পাকিস্তান।

ইউনাইটেড নেশনস সিকিউরিটি কাউন্সিলের (UNSC) তালিবান স্যাংসন্স কমিটির প্রধান পদে বসানো হল পাকিস্তানকে (Pakistan)। আফগানিস্তানে তালিবান অত্যাচার বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে পাকিস্তান। এই কমিটির ভাইস চেয়ার পদে গিয়ানা ও রাশিয়া।

এখানেই শেষ নয়। গোটা বিশ্বের কাউন্টার টেরোরিজম (Counter Terrorism) কমিটিতেও রয়েছে পাকিস্তান! এই কমিটি চেয়ার করবে আলজেরিয়া। ভাইস চেয়ার পদে থাকছে ফ্রান্স, রাশিয়া। সেই সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের নামও ভাইস চেয়ার পদে।

পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করা নিয়ে যেখানে বিশ্বের বড় বড় দেশে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে প্রচার চালাচ্ছে ভারত, ঠিক সেই সময়েই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) বিরাট পরিবর্তন। এবং সেখানে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাওয়া পাকিস্তানের। গোটা বিষয়টিকে বিশ্বের রাজনীতিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। বর্তমানে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা। রাষ্ট্রসঙ্ঘকে অনুদান কমানোর জেরে কমিটিতে মার্কিন প্রভাব অনেকটাই কমেছে। সেই জায়গা অনেকাংশে দখল করেছে চিন। ফলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কমিটিগুলিতে চিনের (China) প্রভাব যে রয়েছে তেমনটা মনে করছেন বিশ্বের রাজনীতিকরা।


সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে অস্থায়ী সদস্য হিসাবে আলজেরিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস প্রভৃতি দেশের সঙ্গে যুক্ত করা হল। একটি কমিটিতে প্রধান এবং অন্য একটি কমিটিতে সহকারী হিসাবে স্থানও দেওয়া হল ভারতের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরেই। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি দেওয়ার পিছনেও চিনের হাত রয়েছে, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনীতিকরা।


–
–

–
–
–

–

–

–

–
