দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বিপজ্জনক মিশ্র বর্জ্য অবশেষে সরাতে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (DSDA) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০০০ মেট্রিক টন লিগ্যাসি বর্জ্য অপসারণে নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রকল্প। ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট সংস্থা বাছাইয়ের জন্য জারি হয়েছে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল (RFP)।
ডিএসডিএ-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দিঘার ডাম্পইয়ার্ডে জমে থাকা এই মিশ্র বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে একাধিক বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদান, জৈব ও অজৈব বর্জ্য, যা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু, জল ও মাটির গুণমানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই দূষণের প্রভাব পড়ছে শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের নয়, দিঘার পর্যটন শিল্পের উপরও।

ডিএসডিএ-র এক আধিকারিক বলেন, “এই লিগ্যাসি বর্জ্য বহু বছর ধরে জমে রয়েছে। এগুলি শুধু পরিবেশ নয়, জনজীবনের উপরও প্রভাব ফেলছে। তাই নিয়ম মেনে, দ্রুততার সঙ্গে এবং সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার মাধ্যমে এগুলিকে সরানো হবে।” সূত্রের খবর, এই বিপজ্জনক বর্জ্য পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হবে একটি স্বীকৃত হ্যাজার্ডাস ওয়েস্ট ডিসপোজাল প্ল্যান্টে, যেখানে তা প্রক্রিয়া করা হবে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। অপসারণ চলাকালীন সময় জুড়ে বাতাস, জল, শব্দ ও গন্ধ—এই চারটি বিষয়ের উপর চলবে কড়া নজরদারি। থাকবে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা, সিসিটিভি নজরদারি ও নিরপেক্ষ পরিমাণ যাচাই-এর ব্যবস্থাও। সম্পূর্ণ প্রকল্পটি শেষ করার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা মাত্র ১৫ দিন।

ডিএসডিএ আশাবাদী, এই উদ্যোগ সফল হলে দিঘার পরিবেশগত ভারসাম্য অনেকটাই ফিরবে। বাসিন্দা ও পর্যটকরা পাবেন আরও স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ পরিবেশ। ইতিমধ্যেই পরিবেশবিদ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, “দিঘার উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় এটি অত্যন্ত জরুরি ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।” পর্যবেক্ষকদের মতে, সময়মতো প্রকল্প সম্পন্ন হলে, দিঘার পরিবেশ এবং অর্থনীতির জন্য এটি হবে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

আরও পড়ুন – সন্দেহের বশে স্ত্রীকে নৃশংস হত্যা! কাটা মুন্ডু হাতে থানায় হাজির স্বামী

_

_

_

_

_
_
_
_
_
_


