সীমান্ত রক্ষায় ব্যর্থ অমিত শাহর বিএসএফ (BSF)। তার জেরে বারবার বাংলায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরছে বাংলরা পুলিশ। তা সত্ত্বেও হুঁশ ফিরছে না বিএসএফ-এর। অথচ বাংলার নামেই কুৎসার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এবার সেই বিজেপির রাজ্য ত্রিপুরাতেই (Tripura) চার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (illegal immigrants) গ্রেফতার করল রেল পুলিশ। সেখানেই বাংলার শাসকদল তৃণমূলের দাবি, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ হলেই সেটা বিজেপির ব্যর্থতা, এটাই প্রমাণিত।
বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির সময়েও দেখা গিয়েছিল বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে বাংলাদেশি নাগরিকরা। আবার ট্রেনে করে দিল্লি যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল তাদের। ফের একবার সেই একই ছবি আগরতলায়। শনিবার আগরতলা (Agartala) স্টেশন থেকে চার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে আরপিএফ (RPF)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা অবৈধভাবে (illegal immigrants) ভারতে প্রবেশ করে। আগরতলা থেকে ট্রেন ধরে তারা দিল্লি যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানায় জেরায়। ধৃত চারজনের নাম- মহম্মদ বিলাল, সালমা বেগম ও তাঁদের দুই নাবালক সন্তান।
একইভাবে বাংলা-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়েও ক্রমাগত বাংলায় অনুপ্রবেশ করছে বাংলাদেশি নাগরিকরা। আর সীমান্ত রক্ষায় ব্যর্থ বিএসএফ-এর (BSF) দোষ বাংলার ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপির নেতারা। সম্প্রতি কাকদ্বীপে এক ব্যক্তির ছবি ভাইরাল হয়েছে যিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাকে দেখা গিয়েছে বলে একশ্রেণির দাবি। সেখানেই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, শুধু বাংলা নয়, কদিন আগে ত্রিপুরায় (Tripura) ধরা পড়েছে। আবার আগরতলায় (Agartala) রেলস্টেশন থেকে চারজনকে ধরেছে। তারা ত্রিপুরায় ঢুকেছে। সেখান থেকে তারা অন্যদিকে যাওয়ার জন্য আবার ট্রেন ধরছিল। চারজনই বাংলাদেশ থেকে ঢুকেছে। কী করে ঢুকল? বাংলাদেশ থেকে যদি ঢুকতে হয় বিএসএফ কী করছিল? ত্রিপুরা তো বিজেপির রাজ্য। সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে এটাই বিজেপির ব্যর্থতা।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
