সৈকত নগরী দিঘার অন্যতম আকর্ষণ জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ আজ থেকেই পৌঁছে যাবে বাংলার ঘরে ঘরে। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন সকালের মধ্যেই কলকাতার খোয়া ক্ষীর পৌঁছবে জগন্নাথ মন্দিরে (Digha Jagannath Temple)। বেলা সাড়ে ১১টায় সেই খোয়া ক্ষীরই ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হবে। এরপর তা পরিণত হবে মহাপ্রসাদে। দুপুরের মধ্যেই সমুদ্র সুন্দরী দিঘা (Digha) থেকে তা গাড়িতে করে জেলায় জেলায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে।


অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বাংলার মুকুটে জুড়েছে নতুন পালক। পুরীর মন্দিরের আদলে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় তৈরি হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। উদ্বোধনের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়েছিলেন, এই মন্দিরের মহাপ্রসাদ বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। আজ থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু। কালীঘাটে মায়ের ভোগে যে পেঁড়া দেওয়া হয়, সেই পেঁড়াকেই জগন্নাথ দেবের ভোগ হিসাবে রাখা ঠিক হয়েছে। সঙ্গে গজা আর খোয়া ক্ষীর থাকছে। সেই মহাপ্রসাদ বাড়ি বসেই পেয়ে যাবেন বাংলার মানুষ। আগামী স্নানযাত্রা থেকেই রথযাত্রা পর্যন্ত দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে একাধিক নিয়ম পালিত হবে। শাস্ত্রীয় বিধি মেনে স্নানযাত্রা (১১জুন) উদযাপিত হবে দিঘায়। এই সময় জগন্নাথ দেবের জ্বর আসে তাই প্রথা মেনে ১২ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত দেবতাকে দর্শন করতে পারবেন না ভক্তরা।২৬ জুন অর্থাৎ রথযাত্রার একদিন আগে আবার মন্দিরের দ্বার খুলবে। ওই দিন বিপুল জনসমাগম হবে ধরে নিয়েই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। ৫ জুলাই জগন্নাথদেবের পুনর্যাত্রার দিনেও রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–
–

