চিপসের প্যাকেট চুরি করার অভিযোগে হেনস্থা করা হয়েছিল সপ্তম শ্রেণীর নাবালককে। ‘অপবাদ’ মেনে নিতে পারেনি শিশু মন। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত! গত মাসে কীটনাশক খেয়ে ছাত্রের আত্মহত্যার খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল পাঁশকুড়ায়।অভিযোগ দায়েরের প্রায় ১৬ দিন পর অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতকে (accused civic volunteer Subhankar Dixit)গ্রেফতার করল পাঁশকুড়া থানার পুলিশ (Panskura Police)। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শ্যামপদ ভূঁইয়া ওরফে জামাই পলাতক।

নাবালকের মৃত্যুর পর তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পারে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্র চিপসের প্যাকেট চুরি করেনি। সকলের সামনে তাকে যেভাবে অপমান করা হয়েছিল এমনকি তার মাও প্রকাশ্যে গায়ে হাত তুলেছিলেন তা মেনে নিতে পারেনি পড়ুয়া। ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনার তদন্তি নেমে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। একই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ এবং মৃত ছাত্রের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া আগাছানাশক বিষের বোতলটিও বাজেয়াপ্ত করে সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষায় তৎপর তদন্তকারীরা।অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার তাঁকে গ্রেফতারের পর রবিবার অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হয়। বিচারক অভিযুক্ত শুভঙ্করকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ধৃতের স্ত্রী। পলাতক জামাইয়ের খোঁজ চলছে।

–

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–
–
