সুপ্রিম কোর্টে এখনও বিচারাধীন এসএসসি-র চাকরি বাতিল মামলা। রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজেদের কাজে বহাল থাকতে পারবেন অযোগ্য চিহ্নিত নন এমন শিক্ষকরা (untainted teachers)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই নতুন করে চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে ৪৪ হাজার শূন্যপদের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, সেই চাকরির পরীক্ষা না দিতেই অনড় চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। এবার দল নির্বিশেষে সাংসদদের চিঠি দিলেন তাঁরা। সেখানেই রাজ্যের শাসকদলের প্রশ্ন যারা চাকরি খাওয়ার রাজনীতি করেছে, তাদের সম্পর্কে কী অবস্থান নেবেন চাকরিহারারা।

এর আগে এসএসসি চাকরি বাতিল নিয়ে সব থেকে বেশি উল্লাস করা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Abhijit Ganguly) দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক শ্রেণির চাকরিহারা শিক্ষকরা। আবার চাকরি বাতিল মামলায় গোটা প্যানেল বাতিলের পক্ষে আদালতে সওয়াল করা সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যের (Bikash Bhattacharya) দ্বারস্থও হন তাঁরা। সেখানেই তৃণমূলের পক্ষে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, তাদের মনে রাখতে হবে যে আইনজীবীরা সবার চাকরি খাওয়ার রাজনীতি করেছে, গোটা প্যানেল বাতিল করতে হবে বলেছেন; যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সকলের চাকরি খেতে হবে বলে কৃতিত্ব ও উল্লাস প্রকাশ করেছেন, তাঁদের সম্পর্কেও এই চাকরিহারা যাঁরা তাদের একটি অবস্থান নিতে হবে।

সেখানেই রাজ্য সরকারের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরে কুণাল ঘোষ বলেন, লড়াইটা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আইনি লড়াই দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টে। পাশাপাশি পরীক্ষার ব্যবস্থাও করছেন। পাশাপাশি একটি অন্তর্বর্তী সুরাহারও ব্যবস্থা করছেন। এঁরা সেটাও আটকানোর চেষ্টা করছেন।

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–
