পুলিশের জালে সোদপুরের তরুণী নির্যাতনে অন্যতম অভিযুক্ত আরিয়ান খান। রাজ্য থেকে পালানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয় আরিয়ানের। বুধবার ভোরে তাকে কলকাতার গলফ গ্রিন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে হাওড়া পুলিশ (Howrah Police)। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শ্বেতার মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে হাওড়া পুলিশ। আরিয়ান ও পরিবারের গ্রেফতার হওয়া অন্যদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা পুলিশের।
হাওড়া ডোমজুড়ের শ্বেতা খান (Sweta Khan) ও তার ছেলে আরিয়ান খানের (Aryan Khan) কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসার পরই তারা ঢাকা দিয়েছিল। শ্বেতার মা জানিয়েছিলেন মেয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও এরপরই নীল ছবি তৈরি ও তরুণীর নির্যাতনে যোগ পাওয়া যায় শ্বেতার ভাইয়ের। গ্রেফতার করা হয় তাকে। পুলিশের অনুমান শ্বেতার মা, মামা ও পরিবারের অন্যান্যরা তার কুকীর্তির বিষয়ে জানতো। তাই তাদের এবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পালা।
৫ দিন ধরে শ্বেতা ও আরিয়ানকে খুঁজছিল হাওড়া সিটি পুলিশের (Howrah City Police) গোয়েন্দা বিভাগ। অবশেষে গলফ গ্রিন থেকে গ্রেফতার করা হল আরিয়ানকে। নির্যাতিতা তরুণী যে অভিযোগ করেছিলেন, ইতিমধ্যেই একাধিক ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা বিশ্ব বাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে নির্যাতন করতে দেখা যায় শ্বেতাকে এবং আরিয়ানকে দর্শকের ভূমিকায় দেখা যায়। এবার গ্রেফতার হওয়া আরিয়ানের সহযোগিতায় শ্বেতাকে গ্রেফতার করা সহজ হবে বলে মনে করছে পুলিশ।
আরিয়ানের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় হাওড়া সিটি পুলিশ গ্রেফতার করে জোয়া খান নামে আরও এক অভিযুক্তকে। বারুইপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শ্বেতা খানের গোটা চক্র চালাতে সেও সাহায্য করত বলেই দাবি পুলিশের। বিভিন্ন মধ্যবিত্ত দরিদ্র পরিবার থেকে মেয়েদের নিয়ে এসে এই ব্যবসায় কাজে লাগানোর বিষয়ে সাহায্য করতে জোয়া।
চাঞ্চল্যকরভাবে শ্বেতার স্বামী দাবি করেছিলেন এই চক্রে জড়াতে না চাওয়ায় শ্বেতা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন নিজের মেয়েকেও। সেই মৃত্যুতে আরিয়ানের যোগ থাকারও অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় একটি বাড়ি থেকে শ্বেতা খানের তিন বছরের এক কন্যা সন্তানের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
–
–
–
–
–
–
–
–
–