কীভাবে ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম? হাসপাতালের বেডে শুয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনালেন বিশ্বাস

Date:

Share post:

রাখে হরি মারে কে! বহু ব্যবহারে ক্লিশে হলেও আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র জীবিত বিশ্বাসকুমার রমেশের (Biswas Kumar Ramesh) ক্ষেত্রে একটা প্রবাদ বলা যায়। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) অভিশপ্ত বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের ১১এ সিটে ছিলেন বিশ্বাসকুমার। কেমন ছিলন সেই সময়ের অভিজ্ঞতা? হাসপাতালের বেডে শুয়ে জানান তিনি।

আদতে গুজরাটের বাসিন্দা হলেও বিশ্বাসকুমার রমেশ (Biswas Kumar Ramesh) এখন বিট্রিশ নাগরিক। লন্ডনে তাঁর স্ত্রী-সন্তান রয়েছেন। তিনি এসেছিলেন গুজরাটের (Gujrat) বাড়িতে। বৃহস্পতিবার, দুপুরে এআই ১৭১ বিমানটি আহমেদাবাদের টার্মিনাল ২ থেকে উড়ান শুরু করে। ৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের উড়ান শেষে নামার কথা ছিল লন্ডনের গ্যাটউইকে। ১১এ সিটটিতে বসেছিলেন বছর ৪১-এর বিশ্বাসকুমার। সঙ্গে ছিলেন দাদা অজয় কুমার রমেশ। দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে হঠাৎ দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপের ভিতরে থেকে ফিনিক্স পাখির মতো বেরিয়ে আসছেন একজন। তিনিই বিশ্বাস। হেঁটেই বেরিয়ে আসেন তিনি। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে (Hospital)। শুক্রবার, সেই হাসপাতালের বেডে শুয়েই তিনি জানান, “টেক অফের ঠিক ৩০ সেকেন্ড পরই বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। তারপরই বিমানটা ভেঙে পড়ল। আমি বিমানের সেই দিকে ছিলাম, যেটা হস্টেলের ফ্লোরের উপর পড়েছিল।“ রমেশ জানান, ”ভীষণ দ্রুত সবকিছু ঘটে গেল। আমি কীভাবে ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম জানি না।” বিশ্বাস বলেন, যখন তিনি বুঝতে পারেন তাঁর পায়ের তলায় জমি রয়েছে, তখনই বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন।
আরও খবর: আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর জীবিত যাত্রীর সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর 

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিশ্বাসকুমার বুকে ও মুখে চোট পেয়েছেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে নিজের দাদাকে খুঁজে বের করার আর্জি জানান তিনি। কীভাবে তিনি বেঁচে গেলেন- তা নিয়ে বিষয়ের ঘোর কাটছে না বাড়ির লোকেদের।

spot_img

Related articles

মোদি-সফরের পাঁচদিনেই অশান্ত মনিপুর: সেনা কনভয়ে হামলায় নিহত ২ জওয়ান

মনিপুরে কত শান্তি – প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর ছিল বিজেপি। চূড়াচাঁদপুরে সভা করা, সেখানে গাড়িতে যাওয়ার মাধ্যেমে নরেন্দ্র মোদি...

বিজেপির অর্থ-নীতিতে বড় ধাক্কা! জাপানি সংস্থার হাতে গেল ইয়েস ব্যাঙ্ক

ঘটা করে দেশের শিল্পপতিদের বাঁচাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ককে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। সেই পরিকল্পনা যে ব্যর্থ তা...

“ছুঁয়ে দেখলাম মা-কে”— হুগলিতে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য ‘অন্য পুজো’

সুমন করাতি, হুগলি মহালয়ার ঠিক আগের দিন, যখন শহর-গ্রামজুড়ে পুজোর প্রস্তুতির শেষ পর্যায় চলছে, তখন হুগলির (Hoogli) চণ্ডীতলায় দেখা...

দুর্গাপুজো ঘিরে সতর্ক কলকাতা পুলিশ, বৃষ্টি মাথায় মণ্ডপ পরিদর্শন নগরপালের

দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করতে কোমর বেঁধে নেমেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। বৃষ্টি উপেক্ষা...