Tuesday, November 4, 2025

নাট্যকার, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, মন্ত্রী! ‘এই অবগাহন’-এ বহু ব্রাত্যের উন্মোচন

Date:

তিনি একাধারে মন্ত্রী, রাজনীতিক, নাট্যকার, কবি, ঔপন্যাসিক, শিক্ষক— অথচ কোনও এক পরিচয়ের গণ্ডিতে তাঁকে বাঁধা যায় না। সেই বহুমাত্রিক ব্রাত্য বসুকেই কেন্দ্র করে শনিবার প্রকাশ পেল সাহিত্যপত্রিকা ‘এই অবগাহন’-এর বিশেষ সংখ্যা। একশোরও বেশি প্রবন্ধে নির্মিত এই ব্রাত্য বসু-সংখ্যা যেন তাঁর জীবন ও কর্মের এক বিস্তৃত ক্যানভাস— যেখানে রাজনীতি আর সাহিত্য, মঞ্চ আর প্রশাসন এক আশ্চর্য সুরে মিশেছে।

পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই বিশেষ প্রকাশ-অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং ব্রাত্য বসু ছাড়াও ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশঙ্কর হালদার, লেখক প্রচেত গুপ্ত, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রমুখ। প্রকাশিত হল তাঁর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটও, যেখানে তাঁর রচিত ও নির্দেশিত নাটকের সংরক্ষিত তালিকা থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর উপস্থিতির সমস্ত খতিয়ান পাওয়া যাবে।

এই পত্রিকার প্রতিটি লেখায় ধরা পড়েছে ব্রাত্য বসুর সৃষ্টিশীলতার বহুবর্ণ চিত্র। কখনও নাট্যকার, কখনও কবি, কখনও অধ্যাপক, আবার কখনও এক অবিচল প্রশাসক— প্রতিটি স্তরে তাঁর ভূমিকা গভীর, সংবেদনশীল ও প্রশ্নসন্ধানী। এই জটিল ও বৈচিত্র্যময় ব্রাত্যকে ধরতেই যেন ‘এই অবগাহন’-এর এই প্রয়াস।

অনুষ্ঠানে নাটকের রোমাঞ্চ নিয়ে বলতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “সিনেমায় অনেকবার দৃশ্য ধারণ করা যায়। কিন্তু মঞ্চে প্রতিটি মুহূর্তই চূড়ান্ত পরীক্ষা। ব্রাত্য সেই অগ্নিপরীক্ষায় বহুবার উত্তীর্ণ। তিনি ইতিহাসকে উপন্যাসে রূপ দেন, আবার নাটকে তুলে আনেন জীবনের অন্য বাস্তবতাকে।”

তিনি আরও বলেন, “ব্রাত্য বসু শুধুই অভিনেতা নন, তিনি অভিনেতাদের ভেতর থেকেও নতুন কিছু বার করে আনতে জানেন। জমি আন্দোলনের সময় যেভাবে মাটির কাছে নেমে এসেছিলেন, সেটা ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে।”

প্রচেত গুপ্ত বলেন, “এমন একটি দলিল তৈরি হল, যা আগামী দিনের জন্য গর্বের বস্তু। ব্রাত্যর সাহিত্যচর্চার জন্য তিনি এখনও যে সম্মান পাওয়ার যোগ্য, তা বাকি রয়ে গিয়েছে।”

নিজের প্রতিক্রিয়ায় আবেগাপ্লুত ব্রাত্য বসু বলেন, “আমি সাধারণত এই ধরনের অনুষ্ঠানে আসতে চাই না। তবে আজকের এই আয়োজন অন্যরকম। ৫০ বছর পর আমরা ক’জনই বা থাকব! তবু এই লেখাগুলি থাকবে। এই দলিল থাকবে।” তিনি জানান, এই সংখ্যায় যেমন সিনেমার পরিচালক, কবি, সাহিত্যিকদের লেখা রয়েছে, তেমনই রয়েছে তাঁর নানা দিকের মূল্যায়ন। “একশোর বেশি লেখা জোগাড় করে অরীন্দ্রজিৎ যে পরিশ্রম করেছে, তা সত্যিই অনবদ্য,” বলেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “আমরা জানি না আগামী দিনের দরজা হঠাৎ করেই খুলে যাবে কিনা। কিন্তু যতদিন এই দরজাগুলি বন্ধ না হচ্ছে, ততদিন লিখে যেতে চাই, বলতে চাই, ভাবতে চাই।”

আরও পড়ুন – বিচার না মেলা পর্যন্ত চা ফুটবে! প্রতিবাদে ‘৪৯৮এ টি ক্যাফে’ খুললেন যুবক 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

Related articles

গ্রুপ সি ও ডি নিয়োগে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করল। কমিশনের প্রকাশিত...

তিন জেলায় চলবে নজরদারি! এসআইআর পরিদর্শনে আসছে কমিশনের বিশেষ দল

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পরিদর্শক দল। কমিশন সূত্রে জানা...

এসআইআর চলাকালীন এলাকায় থাকতে হবে মন্ত্রীদের, কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যজুড়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া (এসআইআর)। এই প্রক্রিয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের...

বিশ্বকাপ জিতেই মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার, আয়ে পলাশকে কতটা টেক্কা দিলেন স্মৃতি?

বিশ্বকাপ জিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana) । আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস...
Exit mobile version