Friday, August 22, 2025

ভারতের বিমান পরিবহনে প্রতিবছর প্রায় একটি করে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। যার পিছনে আবহাওয়া থেকে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন কারণ থাকে। বৃহস্পতিবারের এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) ড্রিমলাইনারের (Dreamliner) দুর্ঘটনা সেইসব দুর্ঘটনাকে ঝাপিয়ে গিয়েছে। ভারতীয় বিমানের সবথেকে বড় দুর্ঘটনা এটি। মাত্র ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে যে মারাত্মক দুর্ঘটনা তার পেছনে কারণ খুঁজতে ব্ল্যাক বক্স (black box) আর ককপিট ডেটা রেকর্ডার (CDR) ভরসা। সেইসঙ্গে পাইলটের শেষ কয়েকটি শব্দও তদন্তে সাহায্য করছে।

আমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ড্রিমলাইনারটি ওড়ার কয়েক সেকেন্ড পরেই পাইলট (pilot) সুমিত সবরওয়ার মে-ডে কল (Mayday call) করেছিলেন। কন্ট্রোলে তিনি জানিয়েছিলেন মে-ডে। নো থ্রাস্ট (thrust)। লুসিং পাওয়ার। আনেবল টু লিফট (lift)। অর্থাৎ গতি হারাচ্ছি, শক্তি হারাচ্ছি, উঠতে পারছিনা।

ঠিক কোন কোন কারণে এই সমস্যাগুলির সম্মুখিন হতে পারেন একজন পাইলট

প্রথমত, মেইনটেনেন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং টিম। তারাই এয়ারক্রাফ্টকে ‘ফিট টু ফ্লাই’ (fit to fly) সার্টিফিকেট দিয়েছিল। থ্রাস্ট (thrust) কাজ না করায় সেই সার্টিফিকেট আদৌ কতটা দেখে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সেখানে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা দেখা হবে তদন্তে।

দ্বিতীয়ত, এয়ার ইন্ডিয়া অপারেশন্স ও ম্যানেজমেন্ট। সকালে প্যারিস থেকে দিল্লি পৌঁছয় ড্রিমলাইনারটি। দু’ঘণ্টার মধ্যে সেটি দিল্লি থেকে আমেদাবাদ পৌঁছয়। এবং আমেদাবাদ থেকে লন্ডনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। এত কম সময়ে বিমানকে তৈরি করার জন্য কর্মীদের উপর কতটা চাপ ছিল। সেই চাপ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ কী দায় এড়াতে পারেন।

তৃতীয়ত, জ্বালানি সরবরাহকারী ও গ্রাউন্ড স্টাফ। যখন বিমান থ্রাস্ট পায় না তখন তার পিছনে জ্বালানিরও খানিকটা দায়িত্ব থাকে। সেক্ষেত্রে যে জ্বালানি ভরা হয়েছিল তা কতটা খাঁটি ছিল বা জ্বালানির প্রেসার সঠিক ছিল কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যে দায় বর্তায় গ্রাউন্ড স্টাফদের উপর।

চতুর্থত, যদি বিমানের থ্রাস্ট সিস্টেমে প্রাথমিক সমস্যা থাকে তবে আগে তা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয় কেন। সেক্ষেত্রে বোয়িং-কেও তদন্তের আওতায় আনা হতে পারে।

পঞ্চম এবং শেষ, ডিজিসিএ (DGCA)। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে শো-কজ নোটিশ পেয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। এরপরেও কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ডিজিসিএ-র তরফে। এরপর এত বড় দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পরে তদন্ত শুরু করছে ডিজিসিএ। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার দায় কী এড়াতে পারে ডিজিসিএ (DGCA), উঠেছে প্রশ্ন।

Related articles

সোনা জয়ী অভিনবকে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ জুনিয়র (Asian Shooting Championship) এয়ার রাইফেল বিভাগে বাংলার অভিনব সাউয়ের (Abhinaba Shaw)। তাঁর এই সাফল্যই...

পুজোর আগে রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদল! পরিবর্তন হল ৬ জেলার এসপি-ডিসি

পুজোর মুখে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ পদে বড়সড় রদবদল করল নবান্ন। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একাধিক জেলায় পুলিশ...

‘নোরা ফাতেহি’ হতে হবে! স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের

যোগীরাজ্যে স্কুলশিক্ষকের ফ্যান্টাসির চূড়ান্ত নমুনা! স্ত্রীকে হতে হবে রোগা ছিপছিপে চেহারার। আর সেই চেহারা বানাতে গিয়েই স্বামীর নির্মম...

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...
Exit mobile version