আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পেরিয়ে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। এখনও বিমানের ধ্বংসাবশেষ মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ওপর পড়ে রয়েছে। মৃতদেহগুলি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন। সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালের মর্গে কান্নার রোল। মরদেহ ফিরে পেতে অধীর আগ্রহে রয়েছে পরিবারগুলি। এমতাবস্থায় সাফাই দিতে অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু।
সাংবাদিক বৈঠকে নাইডু জানিয়েছেন, “দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়েছে এবং সেটির তথ্য এখন ডিকোডিং-এর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণের মাধ্যমেই দুর্ঘটনার সঠিক কারণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। বর্তমানে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের কমিটি ও এজেন্সি একসঙ্গে তদন্তে নেমেছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, “ঘটনাটিকে চূড়ান্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো AAIB-এর প্রযুক্তিগত টিম মনে করছে, ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণ করলে দুর্ঘটনার সময় কিংবা তার ঠিক আগে কী ঘটেছিল- তা স্পষ্টভাবে জানা যাবে।” তিনি জানান,”বর্তমানে ভারতে ৩৪টি বোয়িং ৭৮৭ সিরিজের বিমান রয়েছে, যার মধ্যে ৮টি ইতিমধ্যেই পরীক্ষা শেষ করা হয়েছে। বাকিগুলোরও জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে”
বিমান ও যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে সাফাই দিয়ে বললেন, “আমাদের সেফটি স্ট্যান্ডার্ডাস যথেষ্ট কঠোর, নিয়মবিধির সঙ্গে আপোস হয় না। কিন্তু এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, আরও বিশদে তদারকির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।” তাঁর এই কথার পরে উঠছে প্রশ্ন। যে বিশদে তদারকির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে কি পরোক্ষে বিমান এবং যাত্রীসুরক্ষায় গাফিলতি মেনে নিচ্ছে সরকার?
আরও পড়ুন – সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কান ধরে ওঠবোস! ক্লোজ পেঁড়ো থানার ওসি, গ্রেফতার ২
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_