গুজরাট থেকে লন্ডনগামী ড্রিমলাইনারের (Dreamliner) ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোকাহত গোটা দেশ। টেক অফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কীভাবে এত বড় বিপর্যয় হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা আলোচনা- জল্পনা- বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। এর মাঝেই জোর চর্চা বিমান ইন্সুরেন্স ক্লেইম নিয়ে। গত ১২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘানিনগরে ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India)এআই১৭১ বিমান। আশ্চর্যজনক ভাবে মাত্র একজন প্রাণে বেঁচেছেন। প্যাসেঞ্জার, কেবিন ক্রু, স্টাফ ও পাইলট মিলিয়ে বিমানে থাকা ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই দুর্ঘটনায় ইন্সুরেন্স ক্লেইমের পরিমাণ হতে পারে প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা!এই ঘটনাকে ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিমান ইনস্যুরেন্স ক্লেইমের (Probably the most expensive aircraft insurance claims) পর্যায়ে ধরা হচ্ছে।

বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় মৃতযাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ ব্রিটিশ নাগরিক, ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক এবং একজন কানাডার নাগরিক ছিলেন। একজন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার টাটা গ্রুপ (TATA) বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে।দুর্ঘটনার পর বোয়িংটি আগুন ধরে এবং বিস্ফোরণ হয় যাতে শতাধিকের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, ড্রিমলাইনারের যে মডেলটির দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি ২০১৩ সালের। ২০২১ সালে এই মডেলের বিমানটির প্রায় ১১৫ মিলিয়ন ডলারের বিমা করা হয়েছিল। যাত্রীদের জন্য ক্ষতিপূরণ ১৯৯৯ সালের মন্টরিয়াল কনভেনশনের আওতায় আসবে, যার পরিমাণ হতে পারে প্রায় দেড় কোটি টাকার মতো। হাউডেন ইন্ডিয়ার সিইও এবং এমডি অমিত আগরওয়াল (Amit Agarwal) জানিয়েছেন, বিমানটির বয়স, কনফিগারেশন এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে ক্লেইম মূল্যায়ন করা হবে। আনুমানিক ২১১ মিলিয়ন থেকে ২৮০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হতে পারে অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৪০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। তবে এখনই নিশ্চিত করে সঠিক অংকটা বলা সম্ভব নয়।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–