২১ জুলাই (21st July TMC) তৃণমূল কংগ্রেসের সব থেকে বড় রাজনৈতিক অনুষ্ঠান। শহিদ তর্পণ। শহিদ সমাবেশ। ১৯৯৩ সালের পর থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে যা পালন করে আসছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। এই মহাসমাবেশের প্রস্তুতিতে জোরকদমে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার সেরে ফেলা হল সমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক।

নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভবানীপুরে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করলেন। উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি-চেয়ারম্যানরা। ছিলেন উত্তর কলকাতা ও বীরভূমের কোর কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও ছিলেন কয়েকজন মন্ত্রী ও দলের সিনিয়র নেতৃত্ব। ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের এই মেগা সমাবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মঞ্চ থেকেই জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৬-এর নির্দেশিকা দেবেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই সমাবেশ সবদিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। এবার রেকর্ড ভিড় হবে সভায়। সেই অনুযায়ীই প্রস্তুতি রাখা হবে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, সব জেলা-ব্লকে ২১শের (21st July TMC) সমাবেশের প্রচার চালাবে দল।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই-এর পোস্টারে কেন নেই অভিষেকের ছবি! ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব

এদিন দুপুরেই তৃণমূলের স্যোশাল মিডিয়া পেজগুলির কভার ফটো ও ডিপি বদলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে রয়েছে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান (ধর্মতলা চলো)। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দিয়েই তৈরি হবে সমাবেশের ব্যানার, পোস্টার। এদিন থেকেই সেগুলির ছবি পেনড্রাইভে দলীয় নেতৃত্বকে দেওয়া শুরু হয়েছে বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisek Banerjee) নিজেই দলকে জানিয়েছেন, তিনি যেহেতু ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে ছিলেন না, তাই পোস্টারে বা ব্যানারে তাঁর ছবি থাকবে না। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই থাকবে। ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকেই পোস্টারের পেনড্রাইভ দেওয়া হচ্ছে।

এদিন কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির তুঘলকি আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২১ জুলাই তৃণমূলের সব থেকে বড় কর্মসূচি থাকে একথা সকলেই জানেন। তবুও ওই দিনই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর দিন রেখেছে বিজেপি সরকার। লোকসভার দলনেতা হিসেবে সংসদ শুরুর আগে দলের তরফে নিয়মমাফিক বৈঠকে যেতে হয় আমাকে। কিন্তু এবার আমি বৈঠকে থাকব না। শুধু তাই নয়, ওইদিন ২১শের সমাবেশের জন্য তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার একজন সাংসদও সংসদে যোগ দেবেন না। তাঁরা সকলেই সমাবেশে যোগ দেবেন।

শনিবার ২১শের প্রস্তুতি বৈঠকের আগে বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে নিয়ে আলাদা বৈঠকে বসেন সুব্রত বক্সি ও ফিরহাদ হাকিম। পরে যোগ দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও ছিলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনকেই মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছে দল। একথা জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

_

_

_

_
_
_
_
_