কয়েকদিন আগেই দমদম স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় পা হারিয়েছেন ব্যাঙ্ক নিরাপত্তারক্ষী জগদীশ সরকার। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, আরপিএফ-এর (RPF) বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এই মারাত্মক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে জগদীশবাবু ভুল করে মহিলা ট্রেনের কামরায় উঠে পড়েন। এই নিয়ে রেলের এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করেন এক মহিলা যাত্রী। ট্রেনটি দমদমে ঢোকার আগেই মহিলা আরপিএফ এসআই-এর নেতৃত্বে একদল আরপিএফ সেখানে হাজির হন। সেখানেই জগদীশবাবুর সঙ্গে আরপিএফ (RPF) কর্মীদের ঝামেলা বাধলে গ্রেফতারি এড়াতে লাইনে ঝাঁপ দেন তিনি। এদিকে তাঁকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেন আরপিএফের মহিলা জওয়ান করুণা কুমারী। ট্রেনের ধাক্কায় দুজনেই গুরুতর জখন হন। একটি পা বাদ যায় জগদীশ সরকারের।
জগদীশবাবুর পরিবারের দাবি, ট্রেনের কামরায় আরপিএফ-এর হাতে ধরা পড়ার পরে তিনি জওয়ানদের কাছে বারবার অনুরোধ করেন তাঁকে না নিয়ে যেতে। কারণ, ব্যাঙ্কের চাবি শুধুমাত্র তাঁর কাছেই ছিল। তিনি ব্যাঙ্কে না গেলে ব্যাঙ্ক (bank) খোলা সম্ভব হবে না। তা সত্ত্বেও, আরপিএফ (RPF) কোনও কথায় কান না দিয়ে তাঁকে জোর করে আটক করতে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, রেলের তরফে ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের কোনও উদ্যোগ এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। জগদীশবাবুর পরিবার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি তুলেছে। তাঁদের প্রশ্ন, যদি কিছু গোপন করার না থাকে, তাহলে কেন ভিডিও ফুটেজ দেখানো হচ্ছে না? শিয়ালদহ আরপিএফের (Sealdah RPF) সিনিয়র কমান্ড্যান্ট মনোজ কুমার সিং জানিয়েছেন, কাউকে ভিডিও প্রমাণ দেওয়া হবে না। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত যাত্রীই পালাতে গিয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইনে নেমে পড়েন এবং এক মহিলা অফিসার তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন। তবে অভিযোগ করা হলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
তবে জগদীশবাবুর পরিবার সেই দাবি মানতে নারাজ। তাঁরা জানিয়েছেন, জগদীশবাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাঁরা লিখিতভাবে অভিযোগ জানাবেন এবং আইনি পথে হাঁটার কথাও ভাবছেন।
পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছেন।
–
–
–
–
–
–
–
–
–