শুধুমাত্র তাঁদের ভাষা বাংলা। সেই ‘অপরাধে’ নিজের দেশ থেকে কার্যত ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল ডবল ইঞ্জিন (double engine) প্রশাসনের যৌথ ষড়যন্ত্র। তবে বাংলার প্রশাসনের দ্রুত তৎপরতায় একে একে ঘরে ফিরছেন বিভিন্ন জেলা থেকে বাংলাদেশে বিএসএফ-এর (BSF) অতি সক্রিয়তায় চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা।
মুর্শিদাবাদের মেহবুব শেখ বাংলাদেশ থেকে বাড়িতে যোগাযোগ করে জানালে প্রথম মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police) ও বিএসএফ-এর (BSF) যৌথ ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, মুর্শিদাবাদের মিনারুল শেখ ও নিজামুদ্দিন শেখ এবং বর্ধমানের মোস্তাফা শেখ শুধুমাত্র বাংলা ভাষী ও বাংলার বাসিন্দা হওয়ার অপরাধে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল বিএসএফ। এরপরই রাজ্য সরকার বিএসএফ-এর সঙ্গে কথা বলে এদের ফেরানোর ব্যবস্থা করে।
রবিবারই বিএসএফ বাংলাদেশের বিজিবি-র সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং (flag meeting) করে। তার জেরে কোচবিহার সীমান্ত দিয়ে ফেরানো হয় মিনারুল, নিজামুদ্দিন ও মোস্তাফাকে। বিএসএফ (BSF) তাঁদের মেখলিগঞ্জ পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর শুরু হয় মেহবুবকে ফেরানোর প্রক্রিয়া।
দীর্ঘ টালবাহানার পরে ফের একপ্রস্থ ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে (flag meeting) রবিবারই মেহবুবের ফেরা নিশ্চিত হয়। বিএসএফ (BSF) সোমবার তাকে মুর্শিদাবাদ পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যদিও বিএসএফ-এর এই কীর্তির পরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে শুধু এই চারজন নয়। সোমবার উত্তর চব্বিশ পরগণার বাগদার (Bagda) এক পরিবার অভিযোগ করে তাঁদের ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে একইভাবে। পরিবার বাগদা থানার দ্বারস্থ হয় ওই দম্পতি ফজের মণ্ডল ও তসলিমা মণ্ডলকে ফিরে পেতে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–