১২ জুন গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) মৃত যাত্রীদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৩৫ জনের দেহ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সোমবার রাত ১০ টা ২৫ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, ১২৪ জনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ৮৩ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুষিকেশ পাটিল (Rushikesh Patil)। এরপর মঙ্গলবার সকালে, এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিভিল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ রাকেশ যোশী বলেন, “১৩৫ জনের ডিএনএ মিলেছে এবং ১০১ জনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ১০১ জনের মধ্যে ৫ জন বিমান যাত্রী ছিলেন না। ১২ জনের পরিবার দ্রুত মৃতদেহ সংগ্রহ করবে। ৫ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। বাকি ১৭ জনের ডিএনএ ম্যাচিং বাকি আছে।”

দুর্ঘটনার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকারী দল, পুলিশ, আহমেদাবাদ পুরসভা, সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসকরা কাজ করেছেন। কিন্তু দেহ সনাক্তকরণের কাজ যথেষ্ট ধীরগতিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। অভিশপ্ত বৃহস্পতিবার এর পর থেকে প্রায় পাঁচ দিন কেটে গেছে, মৃতদের আত্মীয়রা আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল এবং অন্যত্র এসে ভিড় জমাচ্ছেন। নিজের চেনা মানুষ আত্মীয় পরিজনের অগ্নিদগ্ধ নিথর দেহ কবে হাতে পাবেন জানা নেই। ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (NFSU) এবং FSL-এর টিম যৌথভাবে DNA টেস্টের কাজ করছে। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন খুব দ্রুত বাকি দেহগুলি সনাক্ত করে পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

–

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–
–

–