ওবিসি সংরক্ষণের জট কাটিয়ে খুলল কলেজে ভর্তির অ্যাডমিশন পোর্টাল (Admission Portal)। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বুধবার থেকেই কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে প্রায় একমাস। স্নাতকস্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু না হওয়ায় উৎকণ্ঠায় ছিলেন পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা। সেই জট কাটল। পাশাপাশি, এআই প্রযুক্তি-সহ একাধিক বিষয় পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu)।
১৮ জুন সকাল ১০টা থেকে আবেদন করা যাবে। প্রথম পর্যায়ের আবেদন শেষ তারিখ ১ জুলাই। পোর্টালে আবেদন করতে হলে প্রথমে সমস্ত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন। ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড পেলে তারপর লগ ইন। ১৭টি সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মোট ৪৬০টি সরকারি এবং সরকার-পোষিত কলেজে স্নাতকস্তরে কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির প্রক্রিয়া শুধু হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করতে পারবেন পড়ুয়ারা।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, গতবার পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবেই হয়েছিল। এবারও তেমনই হবে। কীভাবে কতটা স্বচ্ছভাবে এটি কাজ করবে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
একনজরে কীভাবে কাজ করবে ভর্তি পোর্টাল
# প্রথমে কিছু তথ্য দিয়ে পড়ুয়াদের একবার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
# আবেদনকারী একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড পাবেন যা দিয়ে লগ-ইন করা যাবে
# একজন পড়ুয়া পছন্দের ক্রমানুযায়ী সর্বোচ্চ ২৫টি আবেদন করতে পারবেন
# আবেদন করার শেষ সময়সীমা পর্যন্ত তিনি পছন্দের কলেজের তালিকা এবং বিষয় পাল্টাতে পারবেন
# আবেদন করার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে সবকটি কলেজ সবকটি বিষয়ে সিস্টেম জেনারেটেড মেধা তালিকা প্রকাশিত হবে
# একবার আবেদনের ভিত্তিতেই পড়ুয়ারা তাঁদের পছন্দের একাধিক কলেজে আবেদন করতে পারবেন
# প্রভিশনাল অ্যাডমিশন নেওয়ার জন্য কোনও শিক্ষার্থীকে সশরীরে কলেজে যেতে হবে না
পড়ুয়ারা তাঁদের মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ যে বিষয়টি পাবে তাতে অনলাইনে এই পোর্টালের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে ভর্তি হতে পারবেন
প্রথম পর্যায়ে আবেদন করার সময়সীমা ১ জুলাই শেষ হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রথম দফার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কলেজগুলিতে বিভিন্ন বিষয়ে ফাঁকা আসন সংখ্যার ভিত্তিতে ফের একটি মেধা তালিকা প্রকাশ করবে। এই তালিকায় পড়ুয়ারা তাঁদের পছন্দের আসন যা আগের তালিকা অনুযায়ী পাননি সেগুলি ফাঁকা থাকলে মেধার ভিত্তিতে আবার ভর্তির সুযোগ পাবেন।
শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানান, আপগ্রেডেশনের সুযোগ পেয়ে পড়ুয়ারা ভর্তি হতে চাইলে নতুন আসনে ভর্তি হতে যে টাকা লাগবে তা যদি আগে দেওয়া ভর্তির টাকা থেকে বেশি হয়, তবে কেবলমাত্র অতিরিক্ত টাকাই দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। নতুন করে পুরো টাকা দিতে হবে না।
টাকা জমা দেওয়ার জন্য এবার তিনটি পেমেন্ট গেটওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য। বলেন, এর মাধ্যমে টাকা দেওয়ার সময় যে চার্জ লাগবে সেটি পড়ুয়াদের বহন করতে হবে না। তা দেবে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রভিশনাল অ্যাডমিশনে পড়ুয়াদের সশরীরে হাজিরার দরকার নেই। ছাত্রছাত্রীদের সহায়তায় পোর্টালে থাকছে এআই চ্যাটবট ‘বীণা’।
শিক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য টোল ফ্রি নাম্বার খোলা হয়েছে। ১৮০০১০২৮০১৪ -নম্বরে যোগাযোগ করে নিজেদের সংশয় নিরসন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। এছাড়াও উচ্চশিক্ষা দফতরের যে ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে সেখানেও অডিও ভিস্যুয়াল আপলোড করা হয়েছে তা দেখে নিজেদের ফর্ম ফিল আপ করতে পারবে। স্বশাসিত কলেজ, সংখ্যালঘু কলেজ, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলিতে এই পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি হবে না।
আরও খবর:
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–