বাংলায় কথা বললেই বাংলার শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় কথা বলা কি অপরাধ? পরিযায়ী শ্রমিকদের পুশব্যকের ঘটনায় ফের একবার বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের চার, উত্তর ২৪ পরগনার দুই ও পূর্ব বর্ধমানের এক পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার ঘটনায় বিজেপিশাসিত ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি আঙুল তুললেন তিনি। তাঁর কথায়, আপনারা কেন আমাদের রাজ্যের মানুষদের মারলেন। বাংলায় কথা বলা কি অপরাধ। এটা আমাদের মাতৃভাষা, প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে তাদের মাতৃভাষায় কথা বলার। আমি সব ভাষাকে ভালবাসি প্রত্যেক মানুষের অধিকার রয়েছে তাদের স্থানীয় ভাষায় কথা বলার। আমরা সেটাকে সম্মান করি। কিন্তু আপনাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার মানুষদের বুলডোজ করছেন। আপনারা মানুষদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না। ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটে চারটে করে ইঞ্জিন হয়। কিন্তু দুটো খারাপ হয়ে গিয়েছিল কীভাবে? সেজন্যই আমি আপনাদের ডবল ইঞ্জিন বলছি।

এর আগে বিধানসভাতেও তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আধার, প্যান-সহ সমস্ত ভারতীয় পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও শুধুমাত্র ভাষার ভিত্তিতে এই অন্যায় হচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, বাংলার কিছু নাগরিককে বাংলা ভাষায় কথা বলার অপরাধে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুম্বইয়ের সেই ঘটনা সামনে এসেছে। তাদের কাছে যাবতীয় তথ্য থাকা সত্বেও সেই তথ্য কেড়ে নিয়ে তাদেরকে বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ঘটনা জানাজানি হতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারা সত্যিকারের বাংলাদেশি হলে ভারত সরকার ফিরিয়ে আনত না। তারা ভারতবর্ষের বাসিন্দা, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন – বাংলার মূলধারার ছবিতে ফের নাট্যকার বাদল, আসছে ‘পাগলা ঘোড়া’


_


_
_

_
_
_

_

_

_

_

_