মঙ্গলের সন্ধ্যায় কসবার রাজডাঙ্গা (Rajdanga, Kasba) এলাকার এক বহুতলে একই পরিবারের তিন সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতরা হলেন সরজিৎ ভট্টাচার্য (Sarajit Bhattacharjee), তাঁর স্ত্রী গার্গী ছেলে আয়ুষ্মান। স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজডাঙা গোল্ড পার্কের (Gold Park) ৫০ নম্বর ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ ছিল। বিকেলের দিকে সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরাই কসবা থানায় (Kasba Police Station) খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে প্রথমে হলঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সরজিতের দেহ দেখতে পায়। পাশের ঘর থেকে উদ্ধার হয় গার্গী (৬৮) এবং আয়ুষ্মানের (৩৮) ঝুলন্ত দেহ। সেখানে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে যেখানে ‘স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা’র কথা উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

মৃত সরজিৎ ভট্টাচার্য পেশায় জমি ও বাড়ি কেনাবেচার দালালি করতেন বলে জানা গেছে। এলাকায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা ছিল না তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, গার্গী ও আয়ুষ্মানের দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এখান থেকেই বাড়ছে রহস্য। তাহলে কি স্ত্রী পুত্রকে খুন করার পরই সরজিৎ আত্মঘাতী হয়েছেন? নাকি এর পেছনে অন্য কেউ জড়িত? মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় আত্মহত্যার সম্ভাবনাই আপাতত জোরালো। গোটা বিষয়টা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

–

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–
–

–