এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে গাফিলতির অভিযোগ আগেই ছিল ডিজিসিএ-র (DGCA) কাছে। তারপরেও গত সপ্তাহে দুর্ভাগ্যজনক আমেদাবাদের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয়েছে প্রায় ৩০০ জনকে। যেখানে পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে বিমান চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ ছিল, সেখানেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলো না, দাবি বিশেষজ্ঞদের।

ডিজিসিএ-র রিপোর্টে প্রকাশিত উড়ানের জরুরি যন্ত্রপাতির বাধ্যতামূলক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সেগুলিকে যাত্রী পরিবহণে ব্যবহার করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া। ৩টি এয়ারবাসের সুরক্ষাবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ ছিল। অথচ তাও এয়ার ইন্ডিয়াকে (Air India) কড়া ভাষায় সতর্ক করেছিল ডিজিসিএ (DGCA)।

এখন এয়ার ইন্ডিয়ার উপর সব দায় চাপাতে ব্যস্ত ডিজিসিএ (DGCA)। এয়ার ইন্ডিয়ার ৩টি এয়ারবাসের জরুরি যন্ত্রপাতি পরীক্ষার সময়সীমা দীর্ঘদিন আগে পার হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সেগুলির যথাযথ পরীক্ষা হয়নি। এবং ওই অবস্থাতেই আকাশে ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে এতদিনে ডিজিসিএ-র অভিযোগ। এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়াকে সতর্কবার্তা-সহ নোটিশের পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে একটি তদন্ত রিপোর্টের কপিও। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক পরিদর্শন করা হয়নি ক্রিটিক্যাল এমার্জেন্সি ইকুইপমেন্টসের (critical emergency equipment)। দেখা গেছে, দুবাই, রিয়াদ এবং জেড্ডার মতো আন্তর্জাতিক গন্তব্যে এয়ারবাস রওনা হয়েছে ওই অবস্থাতেই।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–