Thursday, August 21, 2025

রাজ্যের প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়: বিরোধীদের অশান্তি সত্ত্বেও বিল পেশ বিধানসভায়

Date:

রাজ্যের উন্নয়ন যেখানেই দেখবে, সেখানেই বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার খেলা শুরু। ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে বৃহস্পতিবারের পরে ফের শুক্রবার রাজ্যের ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় (Sports University) বিল পেশের সময় ফের একবার অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে বিল আটকানোর চেষ্টা বিজেপি বিধায়কদের। যদিও এদিন বিজেপি বিধায়কদের অশান্তি সত্ত্বেও বিল পেশে কোনও সমস্যা হয়নি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)।

দক্ষ ও পেশাদার ক্রীড়াবিদ গড়ে তুলতে রাজ্যে প্রথম বেসরকারি পূর্ণাঙ্গ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। এই উদ্দ্যেশ্যে শুক্রবার বিধানসভায় ‘দ্য নেতাজি সুভাষ ইউনিভার্সিটি অফ স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিওরশিপ বিল, ২০২৫’ পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠবে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায়। মূলত স্পোর্টস সায়েন্স, স্পোর্টস টেকনোলজি, স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট, স্পোর্টস-ল এবং কোচিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পঠনপাঠনের সুযোগ মিলবে।

এদিকে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে আলোচনার সময় বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের (Shankar Ghosh) বক্তব্য চলাকালীন প্রবল প্রতিবাদ করেন সরকার পক্ষের সদস্যরা। ঘটনার সূত্রপাত আগের দিনের একটি সিদ্ধান্ত ঘিরে—বিরোধীরা বক্তব্য রেখে কক্ষ ত্যাগ করায় তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শাসকদল শুক্রবার শংকর ঘোষের বক্তব্য চলাকালীন তুমুল হইচই শুরু করে। মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriya) বলেন, আগের দিন বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেও অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের জবাব না শুনেই বিরোধীরা চরম অসৌজন্য দেখিয়ে অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে গেছিলেন। নেতৃত্বে ছিলেন শংকর ঘোষ। কাজেই তাঁরাও শংকর ঘোষের বক্তব্য শুনতে চান না। বাবুলকে সমর্থন করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাসেরা।

শংকর ঘোষ (Shankar Ghosh) প্রতিবাদ করে জানান, বিধায়ক হিসেবে তাঁর বা দলের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ চলবে না। অধ্যক্ষ শংকর ঘোষকে বিলের ওপর বক্তব্য রাখার অনুমতি দেন। তবে তিনি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন গতদিন অধ্যক্ষের দেওয়া রুলিং সম্পর্কে বিধানসভায় কিছু বলা যাবে না। বললেও তা রেকর্ড করা হবে না।  ক্ষুব্ধ হয়ে মাঝপথে কক্ষ ত্যাগ করেন বিরোধী বিধায়করা। পরে তাঁরা মুখে কালো মাস্ক পরে বিধানসভার সিঁড়িতে অবস্থানে বসেন। তাঁদের হাতে ছিল ব্যানার—“চুপ বিধানসভা চলছে!”

বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবার অশান্তি বেশিদূর গড়ায়নি। বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করার পর আলোচনা আবার স্বাভাবিক গতিতেই এগোয়।

Related articles

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...

ডুরান্ড অভিষেকেই ইতিহাস তৈরি ডায়মন্ড হারবারের, সেমিফাইনালেই বিদায় লাল-হলুদ ব্রিগেড

বড় ম্যাচ জিতে পরের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালো ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি (EEBFC)। আর অন্যদিকে ডুরান্ড...
Exit mobile version