মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় লগ্নির ধারাবাহিক স্রোত বজায় রয়েছে। দেশের শীর্ষ শিল্প সংস্থাগুলির নজর এখন বাংলা। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ধানসেরি ভেঞ্চার্সের সহযোগী সংস্থা ধানসেরি পলি ফিল্মস, যারা বাংলায় প্রায় ১,০০০ কোটি টাকার নতুন লগ্নির পরিকল্পনা করেছে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-এ সংস্থার আগে থেকেই একটি ইউনিট রয়েছে। সেখানেই আরও দুটি অত্যাধুনিক পলিয়েস্টার ফিল্ম ইউনিট গড়ে তোলা হবে— যার মধ্যে একটি বিওপিইটি (BOPET) এবং অন্যটি বিওপিপি (BOPP) উৎপাদনের জন্য নির্মিত হবে। ধানসেরি পলি ফিল্মসের কর্ণধার চন্দ্রকুমার ধানুকা জানিয়েছেন, “২০২৭ সালের মধ্যে জম্মুর প্রকল্পগুলি কাজ শুরু করবে এবং বাংলার দুটি নতুন ইউনিট চালু হবে ২০২৯ সালের মধ্যে। এটি একটি সম্পূর্ণ গ্রিনফিল্ড প্রকল্প, যেখানে পলিথিলিন টেরেফথালেট থেকে তৈরি ফিল্ম এবং প্যাকেজিং ব্যবহৃত পলিপ্রপিলিন উৎপাদন করা হবে।”

বিভিন্ন প্যাকেজিং শিল্পে ব্যবহৃত এই ফিল্মগুলির চাহিদা দেশ ও বিদেশে ক্রমবর্ধমান। ফলে বাংলায় এই প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে একদিকে যেমন নতুন কর্মসংস্থান হবে, অন্যদিকে রাজ্যের শিল্প মানচিত্রেও এটি হয়ে উঠবে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন ও লন্ডন সফরের পর থেকেই বিদেশি লগ্নিকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। একের পর এক আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলায় লগ্নির ইচ্ছা প্রকাশ করছে। শিল্পভিত্তিক পরিকাঠামো, জমির প্রাপ্যতা, সরকারের নীতিগত সহায়তা— সব মিলিয়ে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় লগ্নির নিরিখে বাংলা এখন অনেকটাই এগিয়ে।

এ বিষয়ে এক প্রশাসনিক কর্তার মন্তব্য, “এই লগ্নি শুধু ধানসেরি পলি ফিল্মসের নয়, বরং বাংলার শিল্প সম্ভাবনার প্রতি নতুন করে আস্থা রাখার প্রতীক।” শিল্পপতিরাও বলছেন, “যেভাবে বাংলায় প্রশাসনের সহায়তায় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে অন্যান্য শিল্প গোষ্ঠীর জন্যও আশার বার্তা।” মোট কথা, বাংলার শিল্পক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে আত্মবিশ্বাস ও আগ্রহ— উভয়ই বাড়ছে, এবং এই প্রবণতা আগামী দিনে রাজ্যের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন – বারাসতের কদম্বগাছিতে বিধ্বংসী আগুন! ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন, আতঙ্কে ঘরছাড়া বাসিন্দারা

_

_

_

_

_
_
_
_
_