পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ লাগার অর্থই জ্বালানির সংকট। গোটা বিশ্ব শুধুমাত্র যুদ্ধ ও প্রাণহানি রুখতে নয়, গোটা বিশ্বকে চরম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের (oil and natural gas) সংকটের মুখে পড়া থেকে রক্ষা করতেই চেষ্টা করছে ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) দ্বন্দ্বে আলোচনা ও কূটনৈতিকভাবে সমাধান খুঁজতে। তবে বিশ্বের শীর্ষ রাজনীতিকদের আশঙ্কাকে সত্যি করে এবার গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার পথে হাঁটতে চলেছে ইরান। সংসদে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেল রবিবার। ফলে তেল পরিবহনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতও চরম সংকটের মুখে পড়তে চলেছে।

হরমুজ প্রণালী দিয়েই বিশ্বের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ২০ শতাংশ পরিবহন হয়। এই প্রণালীর ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ইরান ও ওমানের মধ্যে অবস্থিত এই প্রণালীর ক্ষমতা যার হাতে বিশ্বের ২০ শতাংশ জ্বালানির ক্ষমতাও একসঙ্গে তার হাতে। আর এই পথেই দ্রুত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে জ্বালানি পরিবহন সম্পন্ন হয়।

রবিবার ইরানের (Iran) সংসদে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রের খবর। আমেরিকা ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে আঘাতের চরম শাস্তি ভুগতে হবে তাঁদের, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের সংসদে হরমুজ প্রণালী (Harmuz straits) বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হল। তবে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।

অর্থাৎ এখনই প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে এমনটা নয়। তার আগেই তাই বিশ্বের রাজনৈতিক নেতৃত্বদের তরফে যোগাযোগ করা হচ্ছে ইরানের সঙ্গে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলেন ইরানের (Iran) রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেসকিয়ানের সঙ্গে। সেখানে আমেরিকার হামলার নিন্দা করে কার্যত ইরানের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়। সেখান থেকে সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, বিশ্বের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্বরা ইরানকে হরমুজ প্রণালী (Harmuz straits) নিয়ে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে না আসার অনুরোধ জানাতে চলেছেন।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–