বিজেপি ধর্মীয় উস্কানির প্রতি কোন সমর্থন যে বাংলার মানুষের নেই বারবার তা প্রমাণিত হয়েছে। কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের (Kaliganj by election) প্রচারে বিরোধী দলনেতার বারবার ধর্মীয় উস্কানি কে ছুঁড়ে ফেলে দিল কালিগঞ্জের মানুষ। বাংলার মানুষের পাশে উন্নয়ন নিয়ে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সব সময় রয়েছে তাই-ই আরও একবার প্রমাণিত কালীগঞ্জের ফলাফলে। এই নির্বাচনে ধস বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে। কিছুটা হলেও ভোট বাড়লো বাম কংগ্রেসের।

২০২১ কালীগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকেও ছাপিয়ে গেল উপনির্বাচনের ফলাফল। ২০২১-এ তৃণমূল প্রার্থী নাসিরউদ্দিন আহমেদ জয়ী হয়েছিলেন ৪৬,৯৮৭ ভোটে। উপনির্বাচনে তারই কন্যা আলিফা আহমেদ জিতলেন ৫০,০৪৯ ভোটে। আলিফার প্রাপ্ত ভোট ১,০২,৭৫৯। সেখানে বিজেপির প্রার্থী আশিস ঘোষের প্রাপ্ত ভোট ৫২,৭১০, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেখের প্রাপ্ত ভোট ২৮,৩৪৮।

সাধারণত উপনির্বাচনে ভোটদাতার সংখ্যা থাকে কম। সেখানেও ভোটের ব্যবধান বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। ২০২১ নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি এবং তৃতীয় স্থানে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। সেই ধারার কোনও পরিবর্তন এবারও হয়নি। তবে ভোট বাক্সে অনেকটাই বদল হয়ে গিয়েছে।

বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে ২০২১ সালে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৪,৭০৯। ২০২৫-এ সেই কালিগঞ্জেই উপনির্বাচনে (Kaliganj by election) ভোট কমে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫২,৭১০। খানিকটা ভালো অবস্থায় বাম কংগ্রেস জোট। ২০২১ নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ২৫,০৭৬। সামান্য বেড়ে এবার বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেখ পেয়েছেন ২৮,৩৪৮ ভোট।


বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতিকে ত্যাগ করে উন্নয়নের পক্ষে কালীগঞ্জবাসীর ভোটদানকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেসকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে। বিজেপির ভোট, সমর্থন কমেছে। কারণ তারা হিন্দু মুসলমান ধর্মের নামে ভেদাভেদ করেছে। আসল উন্নয়ন বাংলার মানুষের সামাজিক আর্থিক সুরক্ষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেটা দিয়েছে। তাই বিপুলভাবে মানুষ তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে।


–
–

–
–
–

–

–

–

–
