মেঘালয়ে (Meghalya) হানিমুনে গিয়ে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের ষড়যন্ত্রে খুন ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী (Raja Raghubanshi)। সেই খুনের মামলায় এবার নতুন তথ্য পুলিশের হাতে। একটি কালো রঙের ব্যাগের পুড়ে যাওয়া অংশ পুলিশ পেয়েছে। এই ব্যাগ সোনম রঘুবংশীর বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইন্দোরের কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত এলাকা থেকে এই কালো ব্যাগের পোড়া অংশ উদ্ধার করেছে মেঘালয়ের পুলিশ। আপাতত এই পোড়া অংশ সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়ান্স ল্যাবোরেটরিতে (সিএফএসএল) পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী কী পোড়ানো হয়েছিল ওই ব্যাগের মধ্যে সেটাই জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

একই সঙ্গে মেঘালয়ে রাজা রঘুবংশী (Raja Raghubanshi) হত্যাকাণ্ডে আরও দু জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ধৃতদের মধ্যে একজন মধ্যপ্রদেশের এবং একজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন৷ ধৃত প্রোমোটারের বিরুদ্ধে সোনমের গয়নার বাক্স হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রাজাকে খুন করে এই গয়নার বাক্স নিয়ে মেঘালয় থেকে ইন্দোরে ফিরেছিলেন সোনম। এরপর ইন্দোরের একটি ফ্ল্যাটে ওই গয়নার বাক্স লুকিয়ে রাখা হয়৷

মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলার পুলিশ (Police) সুপার বিবেক সিয়েম জানিয়েছেন, মেঘালয় পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস জেলার একটি টোল প্লাজার কাছ থেকে সিলোম জেমস নামে ওই প্রোমোটারকে গ্রেফতার করে৷

শনিবার সন্ধ্যায় দেওয়াস জেলার ভোঁরাসা টোল-গেট থেকে ভোপালে পালানোর চেষ্টা করার সময় ব্যবসায়ী জেমসকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ইন্দোরের হীরা বাগ কলোনির একজন ব্যবসায়ী। পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে রাজা রঘুবংশীকে হত্যার পর ইন্দোরে ফিরে এই প্রোমোটারের ভাড়া দেওয়া একটি ফ্ল্যাটে আত্মগোপন করেছিল সোনম৷ সেখানেই নিজের সঙ্গে থাকা গয়নার বাক্স এবং অন্যান্য কিছু জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়৷ ওই বাড়ির যিনি নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে৷ শুধু গয়নার বাক্স নয়, নিজের প্রেমিক রাজের একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ল্যাপটপও ওই ভাড়ার ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রেখেছিলেন সোনম৷

অতিরিক্ত ডিসিপি রাজেশ দন্ডোটিয়া এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ধৃত দুই ব্যক্তিকে ইন্দোরের আদালতে পেশ করা হয় এবং সাত দিনের জন্য মেঘালয় পুলিশের ট্রানজিট হেফাজতে পাঠানো হয়।
–

–

–

–

–

–

–

–
–