রাজ্যে জলাভূমি বোজানোর প্রবণতা নিয়ে বিধানসভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জলাভূমি আমাদের ফুসফুস। কেউ যদি নিজের স্বার্থে পুকুর বুজিয়ে বাড়ি বা নির্মাণ করেন, তাহলে আমি নিজে গিয়ে সেই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেব। স্থানীয় প্রশাসন, পুরসভা ও পঞ্চায়েতকে বলব, এমন নির্মাণ রুখে দিতে।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কিছু জায়গায় এমনভাবে ঘিঞ্জি এলাকা তৈরি হয়েছে যে সেখানে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত ঢুকতে পারছে না। তিনি বলেন, “অপরিকল্পিত নির্মাণে পুকুর, জলাজমি (Wetland) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ বুঝতে পারছে না, তারা নিজেরাই নিজেদের ফুসফুস বন্ধ করে ফেলছে।” তিনি জানান, “আমরা সুন্দরবন অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করেছি। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে আরও বিস্তৃত পরিসরে এই কাজ চলবে। তিনটি জেলায় ২০ কোটির বেশি ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে।” এই প্রকল্প বন দফতরের সঙ্গে সমন্বয়ে চলছে।

পরিবেশ দফতরকে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি পরিবেশ দফতরকে বলব, স্ট্রং অ্যাকশন নিতে। স্থানীয় কিছু লোক মুনাফার জন্য জলাভূমি (Wetland) বোজাচ্ছে। এটা চলতে পারে না।”

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “বাম আমলে প্রায় তিন হাজার পুকুর বোজানো হয়েছে। আমাদের আমলেও কিছু কিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা সে দিকেও নজর দিচ্ছি।” মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, “পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। জল, সবুজ, খোলা জমি না থাকলে প্রাণ বাঁচবে না।” একইসঙ্গে জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ল্যান্ড ইউজ পলিসি (ভূমি ব্যবহার নীতি) রূপায়ণে কাজ শুরু করেছে যাতে পরিকল্পনাহীন নির্মাণ আটকানো যায়। বিধানসভা থেকে তাঁর এই হুঁশিয়ারি পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নে সরকারের কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করে দিল।
আরও খবর: বিধানসভায় উপস্থিতি-ইতিবাচক ভূমিকায় পুরস্কারের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর, তালিকায় কর্মী থেকে সাংবাদিকরাও


–


–
–

–
–
–

–

–

–
