জমি ও ভাড়াটিয়া সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ‘পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার ও ভাড়াটিয়া ট্রাইবুনাল (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পাশ করল রাজ্য বিধানসভা। মঙ্গলবার বিলটি পেশ করেন রাজ্যের ভূমি দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
মন্ত্রী জানান, কলকাতা হাই কোর্টের পরামর্শ মেনে এবং ২০১১ সালে আদালতের অসাংবিধানিক ঘোষণা করা কয়েকটি ধারার ভিত্তিতেই এই সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ট্রাইবুনালের প্রশাসনিক ও বিচারিক ভারসাম্য বজায় থাকবে, এবং স্বচ্ছতা আসবে সদস্য নিয়োগ ও অপসারণ প্রক্রিয়ায়।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, প্রয়োজনে ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের ক্ষমতা পাবেন। একইসঙ্গে সদস্য অপসারণের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির মনোনীত বিচারপতির তদন্ত প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিলের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ আলি ও সুকান্ত পাল। মহম্মদ আলি জানান, আইনকে আরও শক্তিশালী করতেই ল্যান্ড কমিশনারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুকান্ত পালের মতে, “সংশোধনী ছোট হলেও এর প্রভাব অনেক বড়। এতে সাধারণ মানুষকে আর জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে হাই কোর্টে যাওয়ার ঝামেলায় পড়তে হবে না।”
১৯৯৭ সালের আইন অনুযায়ী গঠিত ট্রাইবুনাল কার্যকর হয় ১৯৯৮ সালের ৩ আগস্ট থেকে। কিন্তু কার্যকারিতায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় হাই কোর্ট কিছু ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। চন্দ্রিমা জানান, সংশোধনী বিলটির মাধ্যমে ছয়টি আইন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই কাঠামোর মাধ্যমেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে নিজের অবস্থান পেশ করতে সক্ষম হবে। বিলটি পরে ভোটাভুটির মাধ্যমে বিধানসভায় পাশ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন – নতুন দল গড়ছেন? উত্তরে কী জানালেন বিজেপিতে ‘কোণঠাসা’ দিলীপ
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_