রাজস্থান থেকে রাজ্যে ফেরার পথ পেলেন বাংলার প্রায় ৩০০ শ্রমিক। শুধুমাত্র বাংলা বলার অপরাধে তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরিচয়পত্র, নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও রাজস্থানের পুলিশের হাতে আটকে পড়েন শ্রমিকরা। এই ঘটনায় গোটা বাংলায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে শুরু হয় শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার প্রক্রিয়া। বেশিরভাগ শ্রমিকই উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের মারনাই অঞ্চলের খিসাহার গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় পরিবারের কাছে খবর আসে, তাঁদের প্রিয়জনেরা বাড়ির পথে। সেই খবর শুনেই আবেগে ভাসলেন পরিবার-পরিজনেরা।

খিসাহারের এক শ্রমিকের স্ত্রী কয়িফা খাতুন বলেন, “আমার স্বামী মিন্নাত শেখ ১২ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করছেন। এবার রাজস্থানে গিয়েছিলেন, কাজ শুরু করার আগেই থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। মমতা দি না থাকলে কে ফিরিয়ে দিত ওঁকে?” এলাকার মানুষজন ক্ষোভের সঙ্গে বলছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষা বললেই সন্দেহ করা হচ্ছে বাংলাদেশি বলে। পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কেন এই হয়রানি— তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে এক শ্রমিকের বাবা বলেন, “বাংলার মানুষের পাশে আজও দাঁড়ান একমাত্র দিদি।”

ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন জানান, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানাই। তিনি অবিলম্বে রাজস্থান সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ করে দ্রুত ছাড়িয়ে আনা হয় শ্রমিকদের।” এই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, দেশের ভেতরেই বাংলার শ্রমিকদের এমন সন্দেহের চোখে দেখা কেন? বাংলা ভাষা কি এবার অপরাধ হয়ে দাঁড়াল? আপাতত রাজস্থানে আটক থাকা শ্রমিকরা একে একে বাড়ির পথে, তবে এই অভিজ্ঞতা সহজে ভুলতে পারছেন না তাঁরা।

আরও পড়ুন – দিল্লিতে বাংলার আমের মেলা, লোভনীয় স্বাদের সম্ভারে মাতোয়ারা প্রবাসী বাঙালি


_


_
_

_
_
_

_

_

_

_

_