গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর দেশজুড়ে উড়ান পরিষেবায় একাধিক গলদ ও গাফিলতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই কারণেই বড় বড় বিমানবন্দরে অডিট করার সিদ্ধান্ত নেয় DGCA। গত ১৯ জুন সেই সংক্রান্ত ঘোষণাও হয়। এরপর দিল্লি এবং মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অডিট রিপোর্ট (Audit report) জমা করতেই চোখ কপালে উঠেছে। দেখা গেছে যেভাবে ত্রুটিপূর্ণ বিমান উড়ানের অনুমতি পেয়েছে, তাতে যাত্রী পরিষেবা নিয়ে যে কার্যত ছেলেখেলা হয়েছে সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

কোথাও রানওয়েতে সমস্যা, কোথাও আবার বিমানের টায়ার ঠিক নেই। অডিট রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক গলদ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা-

- লাইন রক্ষণাবেক্ষণের স্টোর, সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি।
- বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের সময় কাজের নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয়নি।
- গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম যেমন লাগেজ ট্রলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।
- রক্ষণাবেক্ষণের সময় অকার্যকর থ্রাস্ট রিভার্সার সিস্টেম এবং ফ্ল্যাপ স্ল্যাট লিভার লক করা হয়নি।
- বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ইঞ্জিনিয়ররা নিরাপত্তা সতর্কতা অবলম্বনে গাফিলতি দেখিয়েছেন।
- ট্যাক্সিওয়ে এক্সিট, গ্রিন সেন্টার লাইট সঠিক অবস্থায় ছিল না, এমনকি বিমানের সিটের নীচে লাইফ জ্যাকেটগুলির অবস্থাও খারাপ।
- কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি লগবুকে রেকর্ডই করা হয়নি।
- বিমানবন্দরের আশেপাশে নতুন নির্মাণকাজ সংক্রান্ত জরিপ নেই, রানওয়ের রেখাচিত্রও বিবর্ণ।
এক সপ্তাহের মধ্যে এই গলদ ও গাফিলতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি বিমান টেক অফ করার আগে মেডিক্যাল সরঞ্জাম ব্যবস্থা চেক করার কথা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে। ফ্লাইট অপারেশন, ব়্যাম্প সেফটি, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (Air Traffic Control), কমিউনিকেশন, নেভিকেশন সংক্রান্ত সব খুঁটিনাটি যথাযথ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–