আমেরিকায় ট্রাম্পের রিপাবলিক ঝড়ের মধ্য়েও একাধিক শহর ও প্রদেশে যে ডেমোক্রাটরা এখনও সজোরে আঘাত হানছেন ফের একবার প্রমাণিত নিউইয়র্কের (New York) মেয়র নির্বাচনে। নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোরহান কোয়ামে মামদানি (Zorhan Mamdani)। ডেমোক্রাট (Democrat) প্রার্থী মামদানি পরাজিত করেন প্রাক্তন গভর্নর কুওমোকে। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরের ৪৩.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে মেয়র (Mayor) নির্বাচিত হন মামদানি। মূলত শ্রমজীবী মানুষের কথা বলে মেয়র পদে নির্বাচিত হন তিনি।
ভারতীয় পরিচালক মীরা নায়ারের (Mira Nair) পুত্র জোরহান মামদানি মাত্র ৩৩ বছর বয়সে নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচিত হন। ডেমোক্রাটিক পার্টির তরফে ২০১৯ সাল থেকে তিনি মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। একসময় কেরালার তিরুবনন্তপুর শহরের মেয়র আর্যা রাজেন্দ্রনকে নিজের অনুপ্রেরণা বলে মনে করেছিলেন মামদানি। কেরালার গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের মেয়র পদে মাত্র ২১ বছর বয়সে নির্বাচিত হয়েছিলেন আর্যা।
মেয়র পদে লড়াইয়ের আগে ২০২১ সালে প্রথমবার নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির (New York State Assembly) সদস্য হন। তবে অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসাবে অবশ্য তেমন পরিচিত হননি। সেখান থেকে নভেম্বরে ডেমোক্রাট প্রার্থী নির্বাচিত হওয়া ও তারপরে মেয়র নির্বাচিত হওয়া এক স্বপ্নের উত্থানেরই মতো। ফলত, জয়ের পর প্রথম ভাসনে মামদানি (Zorhan Mamdani) দাবি করেন, আজ আমরা ইতিহাস রচনা করলাম। তিনিই নিউইয়র্কের (New York) প্রথম মুসলিম ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র নির্বাচিত হলেন।
এবারে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন ব়্যাঙ্কের ভিত্তিতে হয়। প্রার্থীদের কম ভোটের ভিত্তিতে একে একে প্রার্থী বাদ পড়ার পরে সর্বাধিক ভোট পান জোরহান। যদিও ভোট গণনা আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তাতে ফলাফলের পরিবর্তন হবে না, জানাচ্ছে নিয়ামক সংস্থা। ফলে জোরহানকেই মেয়র ঘোষণা করা হয়।
নিউইয়র্ক শহরের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়রের জন্ম উগান্ডায়। সাত বছর বয়সে তিনি আমেরিকায় আসেন। মা প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক মীরা নায়ারের প্রভাব যে তাঁর মধ্যে রয়েছে তা তার মিউজিক ভিডিও-তে স্পষ্ট। সঙ্গীত জগৎ থেকে উঠে আসা জোরহান নিজের প্রচারও করেন একটি মিউজিক ভিডিও বানিয়ে। যেখানে বলিউডের পুরোনো ছবির অংশও দেখা যায়। তবে ট্রাম্প জমানায় মামদানির মেয়র হওয়ায় বড় অক্সিজেন পাবে ডেমোক্রাটরা এমনটাই প্রত্যাশা রাজনীতিকদের।
–
–
–
–
–
–
–
–
–