পুজোর আগেই রাজ্যের তাঁতশিল্পীদের(Handloom Weaving) মুখে হাসি ফোটাতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের(West Bengal Govt.)। তাঁত এবং সিল্ক শিল্পকে উন্নত করতে ১০ কোটি টাকার শাড়ি কিনবে রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প দফতর। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ক্যাম্প করে সরাসরি তাঁতশিল্পীদের (Handloom Weaving) কাছ থেকেই এই শাড়ি সংগ্রহ করা হবে বলে জানালেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর কথায়, “তন্তুজের আউটলেটগুলিতে এই সমস্ত শাড়ি বিক্রি করা হবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তন্তুজের ৬৪টি আউটলেট রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন দামের শাড়ি ও কাপড় মিলবে।”

প্রশাসন সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া এবং বীরভূম থেকে ১ কোটি টাকার সিল্ক শাড়ি কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলা ক্লাস্টার থেকে আরও ৬ কোটি টাকার কাপড় সংগ্রহ করবে দফতর। পাশাপাশি, ক্যাম্পের মাধ্যমে সরাসরি ব্যক্তিগত তাঁতশিল্পীদের (Handloom Weaving) কাছ থেকেও ১ কোটি টাকার কাপড় কেনা হবে। পূর্ব বর্ধমানে তৈরি হয়েছে নতুন তন্তুজ শোরুম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর আগেই এই শোরুম উদ্বোধন করবেন বলে ঠিক হয়েছে। সেই মতো শোরুম সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রচুর তাঁতশিল্পী রয়েছেন, যাঁরা সারা বছর ধরে কাপড় বোনেন। তবে পুজোর আগে তাঁদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পূর্বস্থলী, সমুদ্রগড় ও নাদনঘাট এলাকায় বহু পরিবার এখনও তাঁতশিল্পের উপর নির্ভরশীল। তাঁদের একাংশ মনে করছেন, সরকারের এই সহায়তা নতুন করে শিল্পে উৎসাহ ফেরাবে। নাদনঘাটের তাঁতশিল্পী প্রণব বিশ্বাস বলছেন, “এখন বাজারে কমদামী কাপড় চলে এসেছে। ফলে তাঁতের চাহিদা কিছুটা কমেছে। কিন্তু সরকার যদি এভাবে কেনে, তাহলে আমাদের শিল্পে আবার নতুন জোয়ার আসবে। আমরা কেউই পূর্বপুরুষদের পেশা ছেড়ে যেতে চাই না।” পূর্ব বর্ধমানের তাঁতের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সিল্ক ও বিষ্ণুপুরের তাঁতশিল্পের চাহিদাও যথেষ্ট। অনেক পরিবারই বাজারের মন্দা ও উৎসাহের অভাবে পেশা ছেড়ে দিতে বসেছিলেন। এখন তাঁদের অনেকেই আবার ফিরে আসছেন তাঁতচাকায়— সরকারি ঘোষণার পরেই বহু তাঁতশিল্পী নতুন করে তাঁত বোনা শুরু করে দিয়েছেন। আরও পড়ুন: আর জি কর-কাণ্ডে ঘটনাস্থল দেখতে চেয়ে হাই কোর্টে অভয়ার পরিবার, নির্দেশ দেবে শিয়ালদহ আদালত

–

–


–


–
–

–
–
–

–

–

–

–

–